
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) এক পদে নিয়োগ পেলেও অন্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন অনেক কর্মচারী। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী ও মালী পদে নিয়োগ পেলেও নিজ পদে দায়িত্ব পালন না করে দায়িত্ব পালন করছে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের অফিস সহায়ক হিসেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুয়ায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রহরী(গার্ড) রয়েছেন ৪২ জন। তাদের মধ্যে মাত্র ৭ জন বাস্তবে নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি ৩৫ জন নিরাপত্তা প্রহরী বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরে অফিস সহায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব মুলত পালন করছেন আনসার সদস্যরা। সেখানেও রয়েছে ঘাটতি। যারফলে অধিকাংশ সময়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে না কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে স্ট্রীটলাইটের বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরিসহ ত্রিধর্মী উপাসনালয়ের অভ্যন্তরে গর্ভগৃহের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
একইভাবে মালী (গার্ডেনার) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৯ জনের মধ্যে মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন না সবাই। তাদের অনেকেই বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের অফিস সহায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঝোপঝাড় ও আগাছায় পরিপূর্ণ থাকলেও তা পরিষ্কারে দেখা দিচ্ছে জনবল সংকট। ঝোপঝাড় ও আগাছায় পরিপূর্ণ থাকায় ক্যাম্পাসে বেড়েছে সাপের উপদ্রব।
নিরাপত্তা প্রহরী পদে নিয়োগ পেলেও অন্য পদে দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল হাকিম বলেন, “এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভালো বলতে পারবে,তবে তারা যে পদে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের সে পদেই দায়িত্ব পালন করা উচিত”।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, “নিরাপত্তা প্রহরী ও মালীদের মধ্যে যারা অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা সাময়িক সময়ের জন্য এসব দায়িত্বে আছেন। জনবল সংকট থাকার কারনে তাদের এই দায়িত্বে রাখা হয়েছে”।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো. রেজুয়ানুল হক বলেন, “অফিস স্টাফ সংকটের কারনে তারা অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন, এসকল পদে নতুন জনবল পেলে তখন তাদের ধীরে ধীরে রিপ্লেস করা হবে”।




