
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত দেশ গড়তে সরকারের কাজে জনগণের ভূমিকা হবে অতন্দ্র প্রহরীর মতো। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য এবং সরকারি দফতরের সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পদাধিকারীদের দায়িত্ব হচ্ছে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা। এ দায়িত্ব পালনে তাদের কৃতিত্ব মূল্যায়ন করবে দেশের আপামর মানুষ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ বায়োইথিকস সোসাইটি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী জৈবনিক মূল্যবোধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে তথ্যমন্ত্রী সকলের প্রতি এ আহ্বান জানান। পিআইবি এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অভ্ সভরেইন নেশনস (এইউএসএন) এর সহায়তায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়োইথিকস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক তাসলিমা মনসুর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘উপনিবেশতন্ত্র, সামরিকতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের যাত্রায় নৈতিকতাবিরোধী রাজাকার ও মানুষ পোড়ানো খুনীদের বিচারের কোন বিকল্প নেই।’ একইসাথে টেস্ট রিলিফ ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মর্সূচির বরাদ্দ যদি কেউ আত্মসাৎ করে তারও রেহাই নেই, বলেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশ বায়োইথিকস সোসাইটির উদ্যোগের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সততার নীতিতে দেশ গড়তে শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রনয়ণ করেছে। এর মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ঘুষ নেয়া যেমন অন্যায়, ঘুষ দেয়াও অন্যায়। অন্যায় প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ হলো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দেয়া।’
এ উপলক্ষে আগত যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অভ্ সভরেইন নেশনস এর প্রেসিডেন্ট ড. ডেরিল আর মেসার, পিআইবি’র মহাপরিচালক শাহ আলমগীর এবং বায়োইথিকস সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক শামীমা পারভীন লস্কর অনুষ্ঠানে নৈতিকতা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সভাশেষে সোসাইটি আয়োজিত চিত্রাংকন ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী। বাসস