
সীতারাম, মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন জিতে বিধায়ক হয়েছেন তিনি। অথচ ঠিকমত মাথা গোঁজার জায়গা নেই তার। কুঁড়েঘরে থাকেন তিনি। শুনতে আশ্চর্য লাগলেও ঘটনা সত্যি। অথচ এই সীতারাম আদিবাসীই হারিয়েছেন কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা রামনিবাস রাওয়াতকে। সেই জয়ও একেবারে আসেনি।
বিগত দু’টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন রামনিবাসেরই কাছে। কিন্তু হাল ছাড়েননি। দারিদ্রতাকে সঙ্গে নিয়েই রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। ফল মিলেছে। কিন্তু দারিদ্রতা দূর হয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, সীতারামের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন গ্রামবাসী। দুই কামরার একটি ঘর করে দেয়ার জন্য চাঁদা তুলছেন তারা। নিজ উদ্যেগে এই কাজটি করছেন গ্রামবাসী।
মধ্যপ্রদেশের বিজয়পুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে জেতেন ৫৫ বছরের এই বিজেপি প্রার্থী। নির্বাচনের আগে পেশ করা সম্পত্তির হিসেবে দেখা গিয়েছিল যে, সীতারামের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৪৬,৭৩৩ টাকা, যার মধ্যে নগদ ছিল মাত্র ২৫,০০০ টাকা। শেওপুর জেলার কারহাল বিকাশখণ্ড গ্রামের সীতারাম সহজ-সরল জীবনযাপনেই অভ্যস্ত। এখনও তার সম্বল বলতে গ্রামের প্রান্তে ওই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুই। সেখানেই স্ত্রী ইমতিবাঈকে নিয়ে বসবাস করেন নিঃসন্তান সীতারাম।
সীতারামের স্ত্রী জানিয়েছেন, চরম দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করলেও বরাবরই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে চেয়েছেন সীতারাম। তবে এ বার তাদের মাথা গোঁজার সমস্যার সমাধান হতে চলায় তিনি খুশি বলেও জানিয়েছেন সীতারামের স্ত্রী।