নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৬০ বছর পর জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের মাকলাহাট গ্রামে। উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের মাকলাহাট গ্রামের উজিরের ছেলে আহসান হাবীব,উপরকুড়া শালবাড়ীর আবুল হোসেনের ছেলে সাকিম, উজিরের ছেলে বল্লা, গোপালের ছেলে ওসমানের বিরুদ্ধে জমি দখলের এই অভিযোগ উঠেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকবুল হোসেনের ছেলে আলকেস আলী, আলকেস আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, নিয়ামতপুর উপজেলার মাকলাহাট গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে ফেন্টু এবং ওহির মন্ডলের ছেলে আবুল হোসেনের ক্রয়কৃত জমি দখল করে নেয়। সম্প্রতি জমি দখলের পর এ বিষয়ে গ্রামে মাতব্বরদের নিয়ে সালিশে বসলেও ভূমি দর্স্যু আহসান হাবীব গংরা না মেনে জমি দখল করে চাষ করে সরিষা বুনে দেয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আলকেস আলী বলেন, ৬২ সালের খতিয়ানমূলে উপজেলার মাকড়তলী গ্রামের লাল
মোহাম্মাদ মন্ডলের ছেলে ওসমান আলী মন্ডল এবং ওসমান আলীর স্ত্রী মালেকা মন্ডল ক্রয় করে। ১৯৭২
সালে সেই জমি ওসমান আলী মন্ডল ও মালেকা মন্ডলের নামে রেকর্ড ও হয়ে যায়। ওসমান আলী মন্ডলের
নাম রেকর্ড হওয়ার পরে এই জমি কয়েকজন হাত বদল হওয়ার পর আমি, আমার ছেলে মিজানুরসহ
আরো ২জন ব্যক্তি ৭২ সালের রেকর্ড মূলে ওসমান আলী মন্ডলের নিকট হতে ২০০৪, ২০১৭, ২০১৮
সালে মাকলাহাট মৌজার আরএস খতিয়ান ১৭৬ নম্বরের ২৬৭৯ নং দাগে ১ একর ৭৭ শতাংশের মধ্যে
১ একর সাড়ে ৫২ শতাংশ জমি ক্রয় করে এখন পর্যন্ত ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ আহসান হাবীব
গংরা সেই জমি জোরপূর্বক দখল করে তাতে চাষ করে সরিষা বুনে দেয়। আমার বাড়ী অনেক দূরে
হওয়ায় এবং আহসান হাবীব গংরা স্থানীয় হওয়ায় আমি তাদের বিরুদ্ধে কোন কিছু করতে পারছি না। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে জমির কাগজপত্র দেখে তাদের জমিতে না যাওয়ার পরামর্শ দিলেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করে নাই।
আরেক ভুুক্তভোগী মিজানুর রহমান বলেন, আমি সেই একই কাগজমূলে ৯২ শতক জমি ক্রয় করি। প্রায় ৭ বছর যাবত ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ আহসান হাবীব গংরা জোরপূর্বক আমার জমি দখল করে নেয়। তারা বিএনপির পরিচয় দিয়ে জোনপূর্বক জমি দখল করতে রাখতে চায়। আমি ও আমার বাবা জমি ক্রয় করে খারিজ পর্যন্ত সম্পন্ন রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আহসান হাবীবের সাথে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নাই।