sliderস্থানীয়

নিয়ামতপুরে মাছ লুট ও পিকআপ ভাংচুরের অভিযোগ, আটক-১৬

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর নিয়ামতপুরে মাছও মাছ মারার সরঞ্জাম লুট ও পিকআপ ভাংচুরের অভিযোগে তিনজন নারীসহ ১৬ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের বড়াইল মোড়ে। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিলিহারী গ্রামের জনৈক আয়নাল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেনকে ভাদকুন্ডু (হঠাৎপাড়া) মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি জামশেদ আলী পুকুরে মাছ ছাড়াসহ যাবতীয় দায়িত্ব প্রদান করে। সম্প্রতি গত ২০ নভেম্বর বুধবার বিকেলে আমি উক্ত পুকুরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেড় জাল, পিকআপসহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার পথে বাধা প্রদানসহ জেলেদের মারধর, পিকআপ ভাংচুরসহ মাছ ধরার যাবতীয় সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন ২১ নভেম্বর থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালান। তাদের কাজে বাধা প্রদান করায় তিনজন নারীসহ (এজাহারভুক্ত একজন) ১৬ জনকে আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি ভাতকুন্ড (হঠাৎপাড়া) মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির লিঃ এর সভাপতি জামশেদ আলীর কাছ থেকে দীঘিপাড়া (জিনারপুর) এ ৪৪ শতাংশ একটি পুকুর মাছ ছাড়াসহ যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহন করি। সম্প্রতি সরকার পরিবর্তনের পর থেকে স্থানীয় বিএনপি নেতাসহ কিছু ব্যক্তি আমাকে বার বার পুকুরটি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। পুকুরটির লিজ আজ ৬ মাস রয়েছে। গত ২০ নভেম্বর বিকেলে ঐ পুকুরে মাছ ধরার জন্য আমিসহ আমার জেলেদের বেড় জাল, পিকআপ নিয়ে যাওয়ার সময় বিএনপি নেতা ঝলঝলিয়া গ্রামের মৃত- আয়েন উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর কবির বাচ্চু (৫২), বুজরুক নেহেন্দার মৃত-নিজাম উদ্দিনের ছেলে আরিফ কাউসার (৫০), বড়াইল দীঘিপাড়ার মৃত-কুতুব উদ্দিনের ছেলে একরামুল (৫০), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ববিতা (৪০), মোসলেমের ছেলে জেম (৪৫), মৃত-আক্কাসের ছেলে জাকারিয়া (৪০), আব্দুর রউফের ছেলে হারুন (৩৫), নজরুলের ছেলে বুলবুল (৩৫), মৃত-মোসলেমের ছেলে জসিম উদ্দিন জুয়েল (৪০), মৃত- আব্দুর রহিমের ছেলে সামসুল হক নবী (৫০),ইমাজ উদ্দিনে ছেলে রায়হান পারভেজ (৩৫)সহ আরো ২০/২৫জন আমাদের বাধা দেয়। জোরপূর্বক বেড় জালসহ মাছ মারার যাবতীয় সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়। পিকআপ গাড়ী ভাংচুর করায় উপরোক্ত ব্যক্তিদের আসামী করে আমি থানায় এজাহার দায়ের করি।
আমি পর তিন ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলে ঐ দিন রাতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। উপরোক্ত ব্যক্তিরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাথেও বাক-বিতান্ডাতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এজাহারভুক্ত নারী ববিতা, অজ্ঞাত আরো দুইজন নারীসহ ১৬জনকে আটক করে।

আনোয়ার আরো বলেন, পিকআপ গাড়ী ভাংচুরে এক লক্ষ টাকার ক্ষতি, বেড়জালসহ মাছ মারার সরঞ্জাম প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে এবং পরে পুকুর হতে প্রায় ৩০ মন মাছ জোরপূর্বক লুট করে নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৩ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে অফিসার ইন চার্জ হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, অভিযোগে প্রেক্ষিতে ১৬ জন আসামীকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button