slider

নিয়ামতপুরে ককটেল বিস্ফোরণে আহত ৪, ২৭ জনকে আসামী করে মামলা

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর নিয়ামতপুরে ককটেল বিস্ফোরণে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতা আহত হয়েছেন। ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ৮.৫০ টার সময় উপজেলা সদরের পোষ্ট অফিসের সামনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ৭ জন নামীয় ও ১৫ থেকে ২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামীকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আহতরা হলেন নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পূর্বপাড়া গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আহসান হাবীব রকি (৩৫), নিয়ামতপুর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বালাহৈর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে সিরাজ উদ্দিন নিশান (২৩), নিয়ামতপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও বালাহৈর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তোফায়েল আহমেদ তুহিন (২৩), সাঙ্গইল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ওসমান গনি (১৯)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ আসাদুজ্জামান।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনটি মোটর সাইকেল করে ৯ জন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পোস্ট অফিসের সামনের রাস্তায় দুইটি ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণে ৪জন আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো ওই যুবকদের পেছনে ধাওয়া করলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ককটেল বিস্ফোরণে আহত সিরাজ উদ্দিন নিশান বলেন, বিশ্বকাপের খেলা দেখার উদ্দেশ্যে তিনমাথা মোড়ে যাওয়ার পথে পোষ্ট অফিসের সামনের রাস্তায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার গোলাম রাব্বানী বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
নিয়ামতপুর থানা অফিসার ইন চার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থল থেকে দুটি বিস্ফোরিত ককটেলের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে ৭জনকে নামীয় ও ১৫ থেকে ২০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামীকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঠিক কি কারণে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হলো, কারা এর সঙ্গে জড়িত, সার্বিক বিষয় আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীদের গ্রেফতারের সব রকম চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button