slider

নিয়ামতপুরে ইট ভাটায় পুড়ছে কাঠ হুমকিতে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ

জনি আহমেদ,নিয়ামতপুর(নওগাঁ)প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে ইটভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। বিস্তীর্ণ মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহ। এর মধ্যেই গড়ে উঠেছে পরিবেশবিধ্বংসী ইটভাটা। ভাটা থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ছে কাঠ পোড়ানোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। এতে নষ্ট হচ্ছে আমসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল। নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই গড়ে উঠেছে ইট ভাটাগুলো।

ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেই কোনো তৎপরতা বা নজরদারি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৫টি ইট ভাটা রয়েছে। ভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের অনাপত্তি সনদ ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে চালু রয়েছে। এখানে কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাটার চারদিকে কাঠ স্তূপ করে রাখা হয়েছে। শ্রমিকেরা সেই কাঠ ফাড়াই করে পোড়ানোর উপযুক্ত করছেন।

ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে গাছের গুড়ি পোড়ানো হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভাটার কালো ধোঁয়া ও ধুলাবালুতে বাড়িঘরে থাকা দায়। জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভাটার চারদিকের জমিগুলো এক সময় অনাবাদি হয়ে পড়বে। ভাটার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইটভাটার মালিকরা বলেন, কয়লার দাম বাড়া ও কয়লা না পাওয়া কারণে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। তবে ভাটার ধোঁয়ায় ফল ও ফসলের ক্ষতির বিষয়টি তাদের জানা নেই।

ইটভাটা স্থাপনে অনাপত্তি সনদের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে আবেদন করা আছে বলে দাবি করেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক সুফিয়ান বলেন, গাছ পোড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই,তদন্ত সাপেক্ষে সব ভাটায় অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান পি এ এ বলেন, ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভাটাগুলোকে জনবহুল জায়গা থেকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার জন্য এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে স্থাপনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্যকারী ভাটাগুলোতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button