নিউক্লিয়ার টাইটানিক নিয়ে সমালোচনার ঝড়

রাশিয়ার তৈরি ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিভাবে সাগরে ভাসানো হয়েছে। পরিবেশবাদীরা এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ‘নিউক্লিয়ার টাইটানিক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যাকাডেমিক লমোনোসভ।’
সেন্ট পিটার্সবার্গ শিপইয়ার্ডে তৈরি করা হয় এটি। সেখান থেকেই শনিবার ভাসানো হয় এটিকে। লমোনোসভের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত পারমাণবিক শক্তি সংস্থা রোসাতম বলছে, বাল্টিক সাগর হয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে মুরমানস্কের একটি ঘাঁটিতে নেয়া হবে।
২০১৯ সালের গ্রীষ্মে পেভেকের আর্কটিক বন্দরে নেয়ার আগে বিশ্বের প্রথম এই ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে পারমাণবিক জ্বালানি দেয়া হবে। ওই বন্দর থেকেই কাজ শুরু করবে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন তীব্র সমালোচনা করে আসছে রোসাতমের এই প্রকল্পের। গ্রিনপিস এ প্রকল্পকে ‘ভাসমান চেরনোবিল’ ও ‘নিউক্লিয়ার টাইটানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাশিয়ার একেবারে উত্তরে ও পূর্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে লমোনোসভ। রোসাতম বলছে, ১ লাখ মানুষ বাস করে এমন কোনো শহরের জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে এই রিঅ্যাক্টরের।
২০১৯ সালে দ্বিতীয় ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু হতে পারে। সেই সঙ্গে এগুলো অন্যান্য দেশে বিক্রি করা হতে পারে বলেও রুশ গণমাধ্যমে খবর রয়েছে।
লমোনোসভের নির্মাণ কাজ চলার সময়ই সমুদ্রে সম্ভাব্য কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল নরওয়ে ও সুইডেন। তবে রোসাতম বারবারই বলছে, পারমাণবিক দুর্যোগ ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুনামিসহ অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই রিঅ্যাক্টরগুলোর কোনো ক্ষতি হবে না।