
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা, টিএসসি, অমর একুশে গ্রন্থমেলা, ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চ, বাহাদুর শাহ পার্ক স্মৃতিস্তম্ভ ও উত্তরার ৭নং সেক্টর পার্ক মাঠে সব বয়সী মানুষ বসন্ত বরণ উৎসবে মেতে উঠেছিল।
বাসন্তি উচ্ছ্বাস-আনন্দে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, ও নারী-পুরুষসহ সবাই বাহারি সাজে সেজে আসে উৎসব প্রাঙ্গণে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে দল বেধে ভোরেই চলে এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা পরিষদের বকুলতলায়।
নারীরা খোঁপায় গাদা ফুলসহ নানা রঙের ফুল আর বাসন্তী রঙের শাড়িতে এবং পুরুষেরা বাহারি রঙের পাঞ্জাবিতে সেজে এসেছেন বাঙালরির নিজস্ব এ উৎসব উদযাপনে। শুধু নবীনরাই নয়, দল বেধে এসেছেন প্রবীণরাও। শনিবার আবার সরস্বতী পূজা, তাই দু’য়ে মিলে বাড়তি আনন্দ কাজ করছে মনে।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী এ উৎসবের শুভ সূচনা হয় সকাল ৭টায় চারুকলার বকুলতলায় শিল্পী মতিয়ার হোসেনের ধ্রুপদী যন্ত্রসঙ্গীত ‘সারেঙ্গী’ বাদনের মধ্য দিয়ে। চির সুন্দরের আহ্বানে ফাগুনের এ প্রথম প্রহরে আরো ছিল বসন্তকথন পর্ব, প্রীতি বন্ধনী বিনিময়, আবির বিনিময়, দলীয় নৃত্যসংগীত ও আবৃত্তি, একক আবৃত্তি, একক সংগীত, শিশু-কিশোরদের পরিবেশনা, আদিবাসীদের পরিবেশনা এবং বসন্ত শোভাযাত্রা।
অনুষ্ঠানে সমবেত কণ্ঠে শিল্পীরা গেয়ে শোনান- ওহে গৃহবাসী…, কে রঙ লাগালে বনে বনে…, ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে… প্রভৃতি গান। গান পরিবেশন করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, লাইসা আহমেদ লিসা, ফেরদৌস আরা, মিতা হক, সালমা আকবর, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যম, নটরাজ, নৃত্যনন্দন, বুলবুল ললিতকলাসহ বিভিন্ন সংগঠন। একক আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়, আহকামউল্লাহ, গোলাম সারোয়ার প্রমুখ।
বেলা ১১টার দিকে বকুলতলা প্রাঙ্গণ থেকে বের হয় শোভাযাত্রা। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলাসহ ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর, লক্ষ্মীবাজারের বাহাদুর শাহ পার্ক স্মৃতিস্তম্ভ ও উত্তরার ৭নং সেক্টরের পার্কের মাঠে বসন্ত উৎসবের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। এখানেও গান, নাচ, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন করা হয়। সুত্রঃ বাসস