নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে চার মাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ বিতরনের ঘটনা ঘটেছে। রোববার নাটোরের সাংবাদিকদের কাছে সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের মঠগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মোঃ মৃদুল হোসেন এমন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, শনিবার সকাল ১১টার দিকে তিনি তার ছেলে আনাফ হোসেন সানিকে নিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে আসেন। সেখানে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুমনা সরকার তার ছেলে সানী কে দেখে ব্যবস্থাপত্রে জিংক, সিপ্রো ও ওরস্যালাইন লিখে দেন। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বহির্বিভাগ থেকে এসব ওষুধ গুলো বিতরন করেন সেখানে দায়িত্বরত রেবেকা ইসলাম। মৃদুল হোসেন দুপুরের পর নিজের বাড়িতে গিয়ে ছেলেকে ওষুধ খাওয়ানোর সময় দেখতে পান সিপ্রো ওষুধের মেয়াদ গত চার মাস আগে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ ব্যাপারে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আব্দুল মোমিন বলেন ব্যাপারটা দুঃখজনক। কারন মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো আলাদা করে ট্যাগ দেয়া হয়। পরে তা ধ্বংস করা হয়। আসলে এটা একটা ভুল। এ ধরনের ঘটনা সাধারনত ঘটে না। বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ পরিতোষ কুমার বলেছেন, বছর শেষে দুই একটা ওষুধ মেয়াদ উত্তীর্ণ হতেই পারে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া কোন অপরাধ নয়। এটা বিতরনের সমস্যা। ওষুধ বিতরনের আগে মেয়াদের তারিখ দেখে নেয়া উচিত। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সব বিষয়ে বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরনকারী রেবেকা ইসলাম জানান, শনিবার বহির্বিভাগে ১০পিস সিপ্রোফ্লক্সাসিন ড্রাই সিরাপ ছিল। এরমধ্যে ২ টা বিতরন করা হয়েছে। হাসপাতালে রুগীর অনেক চাপ থাকায় ২/১টা ভুল ত্রুটি হতেই পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।