
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে বিএনপি কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা ও যুবদল নেতা সাব্বির আহম্মেদ তালুকদার গামার ১৯তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নাটোর জেলা, সদর ও পৌর শাখার আয়োজনে স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চ, বিএনপি নেতা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা যুব দলের সাংগঠনিক স¤পাদক সাজ্জাদ হোসেন সোহাগ, সোনোয়ার হোসেন তুষার ।
উল্লেখ্য, নাটোর জেলার রামশার কাজীপুর কামারপাড়া বাজারে ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি খুন হন সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর ভাতিজা সাব্বির আহমেদ গামা। বাড়ি থেকে বাজারে আসার পথে সর্ন্ত্রাসীরা প্রথমে তাঁর ওপর গুলি চালায়। এরপর কুপিয়ে গামার মৃত্যু নিশ্চিত করে। ৮ ফেব্রুয়ারি গামার বাবা রফিকুল ইসলাম তালুকদার নলডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক এস এম ফিরোজেসহ ১৫ জন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১৫-১৬ জনকে আসামি করে নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে নলডাঙ্গা থানার সহকারী পরিদর্শক ওবায়দুর রহমান ২০০৪ সালের ১৫ জুন ২১ জনের নামে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। পরে বিবাদীপক্ষের আবেদনে মামলাটি বিচারের জন্য নাটোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক ফিরোজ আলম অভিযুক্ত ২১ জনের ফাঁসির আদেশ দেন। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ মামলার পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ করে এবং মামলাটি রাজনৈতিক দাবি করে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছালে তিনি ২০ জনের শাস্তি মওকুফ করেন। ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বরএ-সংক্রান্ত নথি কারাগারে পৌঁছায় এবং আসামীরা মুক্তি পায় ।