নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের ছাতনী থেকে গতরাতে আসকান আলী নামের একজন কৃষকের বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে ৪টি গরু। এ নিয়ে গত দুইমাসে একই গ্রামের বিভিন্ন পাড়া থেকে ২৫টি গরু চুরি হয়েছে। গরুচুরি ঠেকাতে নিজনিজ বাড়িতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা। তবু ও ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি। অপর দিকে যে সব লোকের বাড়ি থেকে গরু চুরি হয়েছে সেসব কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। অনেকে দুএকটি গুরু কিনে মোটাতাজা করে লাভের স্বপ্ন দেখছিলেন । কিন্তু গরু চুরি হওয়ার ফলে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
নাটোর সদর উপজেলার ছাতনী পালপাড়া এলাকার আসকান আলী বলেন, গরু চুরির ভয়ে রাত জেগে ছিলেন। রাত একটার দিকেও দেখেছেন গরু গোয়ালেই রয়েছে। এরপর রাত তিনটার দিকে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি । সকালে উঠে দেখেন গরু গোয়ালে নেই। চোরেরা দরজার তালা ভেঙ্গে গরুগুলি চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ২টি বড়গরু ও ২টি বাছুরের মূল্য সাড়ে তিন লাখ টাকার নিচে নয়। সরজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একই পাড়ার আনছার আলীর ২টি একই গ্রামের স্কুল পাড়ার আব্দুর রহিমের ২টি, পালপাড়ার কালামের ২টি, আবুল কাশেমের ২টি, একই এলাকার ফজের আলীর ২টি, ভাটপাড়ার আবুল হোসেনের ২টি কেশবপুরের সানোয়ার হোসেনের একটিসহ ২৫টি গরু গত দুই মাসে চুরি হয়েছে । গরু চুরির ভয়ে গরুর মালিকরা ভয়ে ঘুমুাতে পারছেন না। আনসার আলী বলেন, আমার তো যাসর্বনাশ হয়েছেতা হয়েছেই। অন্যরাও রয়েছে আতংকে। অনেকে গরু বাহিরের গোয়ালে না রেখে বাড়ির ভিতরে রাখতে শুরু করেছেন। ছাতনীগ্রামের অধিবাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, গরু নিয়ে ছাতনীবাসী আতংকে রয়েছেন। আমরা থানা পুলিশকে জানিয়েছি। চোর সন্দেহে দুজনকে ধরে পুলিশেও সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী । কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছেনা। পুলিশ এখনো চুরি যাওয়া কোন গরু উদ্ধার করতে পারেনি।
এ বিষয়ে নাটোর সদর থানার ওসি নাসিম আহমেদ বলেন, ছাতনী এলাকায় পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ গরু চুরির সাথে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।