নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ শহরের ইয়াদ আলীর মোড় এলাকার তালপুকুর নামক স্থানে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা কামাল হোসেন নামে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল হোসেন শহরের রজাকপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নওগাঁ পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এছাড়া তিনি নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ১০টার দিকে সড়কের পাশে কামাল হোসেন মোটরসাইকেলে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এ সময় হঠাৎ মুখোশধারী ও হেলমেটধারী ৫ থেকে ৭ জন যুবক চাপাতি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। দুর্বৃত্তরা কামালের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় কামাল হোসেনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতের ভগ্নিপতি নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের দোগাছী গ্রামর নাসির উদ্দিন বলেন, আমার শ্যালককে পরিকল্পিতভাবে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন বলেন, চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। বিরোধী শক্তিকে কোণঠাসা করতে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার ঘাড়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নওগাঁ সদর থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান বলেন, লাশের পিঠে ও ঘাড়ে চাপাতির মতো ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।