sliderশিরোনামস্থানীয়

নওগাঁয় খেতাব বঞ্চিত সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হকের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকীতে একুশে পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নওগাঁ প্রতিনিধি : ৭নং সেক্টরের প্রথম কমান্ডার শহিদ মেজর নাজমুল হকের ৪৯তম শাহাদত বার্ষিকীতে একুশে পরিষদ নওগাঁ কেডির মোড় নামজুল হক স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকাল ৯টায় একুশে পরিষদ নওগাঁ শহিদ নাজমুল হক স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন একুশে পরিষদের উপদেষ্টা প্রফেসর শরিফুল ইসলাম খান, বিন আলী পিন্টু, সভাপতি অ্যাড. ডি. এম. আব্দুল বারী, সহ-সভাপতি অ্যাড. বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মুকুল চন্দ্র কবিরাজ, রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রতাপচন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিষ্ণু দেবনাথ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, নাসিম হোসেন কাইয়ূম প্রমুখ।
উল্লেখ যে, নামজুল হক চট্টগ্রামের সন্তান হলেও নওগাঁর মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। ১৯৭১ সালের ১৮ মার্চ ৭ ইপিআর উইংয়ের অধিনায়ক করে মেজর নাজমুল হককে পাঠানো হয় নওগাঁয়। মার্চের উত্তাল দিনগুলোতে সারাদেশ তখন ফুঁসছে ক্ষোভে। পাকিস্তানি শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের প্রস্তুতি নিচ্ছে জনতা।
এমন পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবি উইং কমান্ডার মেজর আকরাম কোনো বাঙালির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরে প্রথমে রাজি হননি। পরে বাধ্য হয়ে তিনি মেজর নাজমুল হককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। ২৫ মার্চ পাকিবাহিনী ঢাকায় গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। নওগাঁয় সে খবর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে নাজমুল হক স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ২৬ মার্চ নওগাঁ মহকুমা মুক্তাঞ্চল ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় তাঁর মুক্তিযুদ্ধ। তিনি অসংখ্য যুদ্ধ পরিচালনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button