
ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ সুশান্ত কুমার শীল নামে এক যাত্রীকে কৌশলে মাইক্রোতে তুলে অপহরণের পর মারধর করে মোবাইল-টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ অবস্থায় কৌশলে গাড়ির দরজা খুলে ওই যাত্রী ডাক-চিৎকার করলে একটি সাদা প্রাইভেটকার ও দেশীয় অস্ত্রসহ চারজন অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশের দিয়েছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী সুশান্ত কুমার শীল বাদী হয়ে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ধামরাই থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন। এরআগে বুধবার রাত ১০টায় ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের চৌটাইল এলাকা থেকে তাদের আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকরা হলেন- ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানগরের ইটখোলা গ্রামের আঃ হাকিমের ছেলে মামুন ওরফে রমু (৩৮), মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে নূর ইসলাম (৫২),আজিজুল্লাহর ছেলে শাকিল আহম্ধেসঢ়;দ পাপ্পু (৩০) ও বেউতা গ্রামের দুলাল মিয়ার
ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৬)। তাদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার চালিতাবাড়ি গ্রামের সুশান্ত কুমার শীল ভাড়া থাকেন আমিন বাজারের মরিচাটেকের মঞ্জু মিয়ার বাড়িতে। তিনি বুধবার রাতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে আমিন বাজার বাসষ্ট্যান্ডে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার সুশান্ত কুমারের কাছে থামে। এরপরই প্রাইভেটকারে থাকা অপহরণকারীরা সুশীল কুমার শীলকে প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর প্রাইভেটকারে আগে থেকেই থাকা চালকসহ চারজন যাত্রীবেশী অপহরণকারী তাকে গামছা দিয়ে চোখ ও হাত মুখ বেধে ফেলে কিলঘুষি মারতে থাকে। এসময় সুশীলের পকেটে থাকা প্রায় তিন হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাঁরা সুশান্তদকে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার পরিবারের কাছে ফোনে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় প্রাইভেটকারটি হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর রোড হয়ে ধামরাইয়ের চৌটাইল এলাকায় পৌছলে সুশীল কুমার শীলের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন প্রাইভেটকারটি ব্যারিকেড দিয়ে অপহরণকারীদের আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চার অপহরণকারীকে আটক করেন। এ সময় অপহরণকারীদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার থেকে দুটি স্টীলের চাকু, তিনটি মোবাইল ফোন সেট ও ছিনিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করে।
ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, আটক অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ার পর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।