sliderস্থানীয়

ধান বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে বাছাই উৎসব

নাসির উদ্দিন, হরিরামপুর প্রতিনিধি: একসময় বাংলার ঘরে ঘরে ছিল হাজারো রকমের ধান বৈচিত্র্য। উঁচু, নিচু, মাঝারি রকমের ধানি জমিতে রকমারিন ধান চাষ করা হতো। গভীর পানি ধান সহ বিভিন্ন ধানের চালের স্বাদ, গন্ধ, পিঠা, পায়েস করে উৎসব হতো। কৃষক উদ্যোগে ধান বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বারসিক ও বরুন্ডি কৃষক কৃষাণি সংগঠনের সহায়তায় সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে বোরো মৌসুমে কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান জাত গবেষণা প্লটে ৬৮ জাতের ধানের চাষ করনে। স্থানীয় কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

কৃষকগণ সরাসরি প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লট পর্যবেক্ষণ করে ৩৪ জন কৃষক ৭ জাতের ধান বাছাই করেন। ধানগুলো হলো জিরাশাইল,চিনিগুড়া,সুশীল,গোসাই,মকবুল, বাসমতি, কাডিডিট।

কৃষকগণ গবেষণা প্লটে বোরো মৌসুমে কম পানি ব্যবহার ও ধান উৎপাদনে খরচ কম করে বেশী ধান উৎপাদনশীল ধান বাছাই করেন। এলাকা উপযোগী ধানের জাত বাছায়ে বিগত সময়ে কৃষকগণ নিয়মিত প্রায়োগিক গবেষণা প্লট পর্যবেক্ষণ করে বাছাই করেন।

জৈব উপায়ে গবেষণা প্লটের চাষ উদ্যোগ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে গবেষণা করে ধান বৈচিত্র্য বৃদ্ধি বীজ বিনিময় ও তথ্য আদান প্রদান করছেন। প্রায়োগিক ধান গবেষণার মাধ্যমে অভিজ্ঞ কৃষকগণ ধান বাছায় ও ব্রিডিং এর মাধ্যমে উন্নয়ন করছেন। কৃষক গরুদাস সরকারে নিজস্ব ধান গবেষণার জৈব উপায়ে চাষাবাদ ও ধান পরীক্ষা নিরীক্ষার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

মাঠ দিবসে ধান বাছাই উৎসবের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বরুন্ডি কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্র বৈদ্যনাথ সরকার্রের বাড়িতে। আলোচনা অংশগ্রহন করেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সাবেক হাটিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাদল বিশ্বাস, অভিজ্ঞ ও বরুন্ডি কৃষক সংগঠনের সভাপতি বৈদ্যনাথ সরকার, কৃষক সংগঠনের সদস্য রিকতা সরকার, কৃষক উদ্যোক্তা গুরুদাস সরকার, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা, মুকতার হোসেন, গাজী শাহাদত হোসেন বাদল।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button