sliderখেলা

দ্বিতীয় দিন শেষে ২২২ রানে পিছিয়ে শ্রীলঙ্কা

মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের চেয়ে ২২২ রানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে মুশফিক ও লিটনের সেঞ্চুরিতে ৩৬৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৪৩ রান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখনো এগিয়ে ২২২ রানে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার হয়ে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার ফার্নান্দো ও করুনারত্নে। দুজনই পান ফিফটির দেখা। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ইবাদতের হাত ধরে আসে প্রথম উইকেট। বিদায় নেন ওশাধা ফার্নান্দো। ৯১ বলে আটটি চার ও এক চারে ৫৭ রান করেন তিনি। ইবাদতের বলে তিনি ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। এরপর ফিফটির দেখা পান দিমুথ করুনারত্নে। ৮৪ বলে লঙ্কান অধিনায়ক পূর্ণ করেন পঞ্চাশ। ফিফটির ইনিংসে তিনি হাকান পাচটি চার।
দলীয় ১৩৯ রানের মাথায় সাকিবের হাত ধরে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। এলবির ফাঁদে ফেলেন কুশল মেন্ডিসকে। ৪৯ বলে ১১ রান করেন ওয়ানডাউনে নামা এই ব্যাটার। তবে ফিফটির পর সেঞ্চুরির দিকে চোখ রেখে অপরাজিত আছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে। ১২৭ বলে তিনি ৭০ রানে অপরাজতি আছেন। তার ইনিংসে আছে সাতটি চারের মার। করুনার সাথে অপরাজিত আছেন কাসুন রাজিথা। ১১ বল মোকাবেলা করলেও তিনি রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এর আগে দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশের দুই অপরাজিত ব্যাটার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে বিদায় নেন লিটন। ২৪৬ বলে তিনি করেন ১৪১ রান। তিনি হাঁকান ১৬টি চার ও একটি ছক্কা। রাজিথার বলে লিটনের বিদায়ে ভাঙে রেকর্ড ২৭২ রানের জুটি। এরপর মাঠে নামেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। কিন্তু পারেননি টিকতে। পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেক। রান শূন্য।
অপর প্রান্তে মুশফিক ছিলেন নিজের মতোই। তার সঙ্গী হন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এই জুটিতে বাংলাদেশের স্কোর পৌঁছে যায় প্রায় সাড়ে তিন শ’র কাছাকাছি। এর মধ্যে নিজের ১৫০ রান পূর্ণ করেন মুশফিক। যা তার ক্যারিয়ারে পঞ্চমবারের মতো। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার। দেড় শ’ ছাড়ানো আগের চার ইনিংসের তিনটিতেই ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মুশফিক।
দলীয় ৩৪৫ রানর মাথায় বিদায় নেন তাইজুল। ফার্নান্দোর বাউন্সারে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ৩৭ বলে ১৫ রান করেন এই টেল এন্ডার। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পেসার খালেদ আহমেদ। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। বিদায় নেন ফার্নান্দোর বলেই ডিকভেলার হাতে ক্যাচ দিয়ে। নতুন ব্যাটার ইবাদত রানের জন্য করেছেন বেশ লড়াই। রানের খাতা খুলার আগেই আউট হয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
২০ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি ইবাদত। হয়ে যান রান আউট। তাতেই পূর্ণ হয় ছয়জনের শূন্য। ভাগ্য খারাপ মুশফিকের। সঙ্গী অভাবে করতে পারলেন না ডাবল সেঞ্চুরি। ১৭৫ রানে তিনি থাকেন অপরাজিত। বল খরচ করেছেন ৩৫৫। তার ইনিংসে ছিল ২১টি চারের মার। লঙ্কানদের হয়ে পাঁচ উইকেট বগলদাবা করেছেন কাসুন রাজিথা। ফার্নান্দো নেন চার উইকেট।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button