
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, এক সময় ফুলের বাগান করার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি। এখন সেই দেশ ক্যাসিনো আর পাপিয়ার বাগান। এজন্য দায়ী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, লুটেরা ও ধনিকদের জন্য শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদ চলছে। এখান থেকে মুক্তির জন্য তৃতীয় বিকল্পধারা সৃষ্টি করতে হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘দেশরক্ষা অভিযাত্রা’ সমাবেশে এসব কথা বলেন।
‘গণতন্ত্রহীনতা রুখো, দুঃশাসন হটাতে ব্যবস্থা বদলাও, বিকল্প গড়ো, জান বাঁচাও- দেশ বাঁচাও, রাজনীতি বাঁচাও’- এসব স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশ ধ্বংসের কাছাকাছি এসেছে। অর্ধেক ধ্বংস করেছে বিএনপি-জামায়াত ও এক-এগারোর সরকার। বাকি অর্ধেক ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, সরকার আসে সরকার যায়, ব্যবস্থার বদল হয় না। ১৯৭১ সালের পর দেশের ২২ পরিবার যত টাকা লুটপাট করে পাচার করতো, গত ১০ বছরে তার চেয়ে দশগুণ বেশি অর্থ পাচার হয়েছে। একদিকে ৯৯ ভাগ বঞ্চিত মানুষ, অন্যদিকে ১ ভাগ লুটেরা ধনিক। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতার নেতিবাচক দিক তুলে ধরে সিপিবি সভাপতি বলেন, খয়রাত নিয়ে জীবন বাঁচাতে যুদ্ধ করিনি। যুদ্ধ করেছি সবাই স্বাবলম্বী হবে বলে। কেবল ১ ভাগের উন্নয়ন নয়, সবার উন্নয়ন হলে এই ভিক্ষা কিংবা খয়রাত দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। এই ধারর পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেমন মুসলমান মৌলবাদ জামায়াত আছে, তেমনি ভারতে হিন্দু মৌলবাদ বিজেপি আছে। বিজেপি সরকার হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, যে বিজেপি ভারতের নাগরিকদের বন্ধু হতে পারেনি, তারা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারে না। তাই নরেন্দ্র মোদির বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বরিশাল বিভাগীয় কমিটির সমন্বয়ক মোতালেব মোল্লার সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল আলম, আহসান হাবিব লাভলু, লুনা নূর, বরিশাল জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা সভাপতি সমীর কুমার কর্মকার, ভোলা জেলা সভাপতি মোনায়েম চৌধুরী, বরগুনা জেলা সভাপতি আবদুল হালিম, পিরোজপুর জেলা সভাপতি দীলিপ কুমার পাইক, ঝালকাঠি জেলা সভাপতি প্রশান্ত দাস হরি প্রমুখ।
দেশ রূপান্তর