দেশে শনিবার ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে

দেশে আজ শনিবার (১৩ মে) দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে। কারণ গ্যাসের ঘাটতির কারণে কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকটি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে (বিপিডিবি) দুপুর ১২টায় প্রায় দুই হাজার ৫১ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে; যখন ১২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ১০ হাজার ৭৪৯ মেগাওয়াট।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তার ধারণা, এ দিন দুই হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে।
বিপিডিবির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছি না বলে এমনটা ঘটেছে। এর ফলে অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে।’
এর আগে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানিয়েছিল, সুপার সাইক্লোন মোখার প্রভাবে শুক্রবার রাত ১১টা থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দু’টি ভাসমান টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ফলে শনিবার চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ ব্যাহত হবে। তবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিগগিরই সরবরাহ শুরু হবে।
এর ফলে চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ বা আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানির (ডেসকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিয়ার মো: কাউসার আমীর আলী জানান, ঢাকা মহানগরীর তার আওতাধীন এলাকায় এক হাজার ১৫৭ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে শনিবার বেলা ১১টায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল ৮১৯ মেগাওয়াট। অর্থাৎ প্রায় ৩৪৭ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, তার কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় দিনে ৩৫০ থেকে ৩৮০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।
শনিবার সন্ধ্যার পর লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।
সূত্র : ইউএনবি