প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড আরো জোরদারে পাবলিক- প্রাইভেট পার্টনারশীপকে (পিপিপি) অধিকতর শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং পিপিপি বোর্ড অব গভর্নন্সের সভাপতি শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার তাঁর কার্যালয়ে বোর্ডের প্রথম সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে চায়। তবে, সরকারের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। এজন্য পিপিপি’র সহযোগিতা প্রয়োজন। পিপিপি’র কনেসেপ্ট মাথায় রেখে অগ্রগতি থেকে আরো সুফল লাভে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এগিয়ে নিতে হবে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে বলেন, সেখানে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘সভায় বিগত কয়েক বছরের পিপিপি কার্যক্রমের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।’
সভায় জানানো হয় যে পিপিপি পাইপ লাইনে বিভিন্ন খাতের ৪৩টি প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্পে সম্ভাব্য ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আসবে। এছাড়া পিপিপি প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন, বেসরকারী অংশীদার নির্বাচন এবং চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর এবং সামগ্রিক বিনিয়োগের সম্ভাব্য পরিমাণ ও সময় সম্পর্কে সভাকে অবহিত করা হয়। এতে জানানো হয় যে ৬টি প্রকল্পের চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে। পিপিপি কারিগরি তহবিলের ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পগুলোতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে পারে।
এছাড়া বেসরকারি অংশীদার নির্বাচনের চূড়ান্তÍ পর্যায়ে ১১টি প্রকল্পে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হতে পারে। সম্ভাব্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে ১০টি প্রকল্প সমীক্ষার কাজ যাচাই পর্যায়ে রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, সভায় সংশ্লিষ্ট আইন মোতাবেক বোর্ডের চেয়ারপার্সন হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পলিসি ইস্যু এবং পিপিপি কতৃর্পক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব প্রকল্প বাস্তবায়নের বাধা নিরসনের বিষয় তদারকি করবেন।
পিপিপি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে থাকবে বাস্তবায়ন কার্যক্রম। এছাড়া, সভায় আনসলিসিটেড প্রস্তাবসমূহ চিহ্নিত ও প্রক্রিয়াকরণে এক গাইড লাইন পেশ করা হয়।
সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুত্রঃ বাসস