slider

দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ শ্রেণীর ভর্তিতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ

শফিকুল ইসলাম সুমন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ জেলার সর্বচ্চ বড় শিক্ষাপীঠ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তিতে বোর্ড নির্ধারিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বোর্ডে নির্দেশনা উপেক্ষা করে নতুন শিক্ষাবর্ষে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ৩৩০ টাকা রশিদের মাধ্যমে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করছে কলেজের কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ৩৩০ টাকা দিচ্ছেন।

শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২৪- ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে বোর্ড নির্ধারিত টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে কলেজে ভর্তির জন্য ফরম জমা দিতে আসলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে অতিরিক্ত নগদ ৩৩০ টাকা জমা দিতে হচ্ছে তাদের।

রশিদের মাধ্যমে নেওয়া অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হচ্ছে যানেনা শিক্ষার্থীরা ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তি হচ্ছে মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরিপত্র অনুযায়ী ভর্তি ও সেশন চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ ২৫৯৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২২৫৫ টাকা বেধে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেবেন্দ্র কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থকে অতিরিক্ত ৩৩০ টাকা নিচ্ছে। কলেজটিতে একাদশ শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ৮২৫ জন, ব্যবসায়ী শাখায় ৬০০ এবং বিজ্ঞান বিভাগের ৪২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আসন আছে। সেই হিসেব অনুযায়ী ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে সকল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩৩০ টাকা করে মোট ৬ লাখ ১০ হাজার টাকা অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কমিটির সদস্য রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাহাফিল খান, অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আহামুদুল্লা ও গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বায়জিদ হাসানের কাছে ৩৩০ টাকা কোন খাতে কত টাকা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একটি হিসাব দেখান। এতে ৩৩০ টাকার হিসাব দেখানো হয় পাঠ
পরিক্রমা ৫৮ টাকা, আইডি ফরম ৩ টাকা, রিসিট ২ টাকা, ডিজিটাল আইডি কার্ড ৮৫ টাকা, ডিজিটাল মেশিন ৬০ টাকা ও দুই বছরের শিক্ষার্থীদের এসএমএস ১২২ টাকা। কিন্তু সবগুলো খাত যোগ করা হলে তাতে দেখা যায় ৩৩৩ টাকা হয়। খরচের খাত বেশি হওয়ার প্রসঙ্গে ওই শিক্ষকরা জানান এটা কম বেশী হতে পারে। তাই আইডিয়া করে হিসাব করা হয়েছে।

সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম জানান, একাডেমি কাউন্সিলর মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৩৩০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তবে এই অতিরিক্ত টাকা কোন খাতে নেওয়া হচ্ছে তা একাডেমি কাউন্সিলর মিটিংয়ের রেজুলেশন বই দেখাতে পারেননি। পরে অধ্যক্ষ ভর্তি কমিটির শিক্ষকদেরকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে আসনে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক বলেন, এ ধরনের ফি নিতে বোর্ড কোন নির্দেশনা দেয়নি। কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল ফি নিতে পারেন। তবে তার স্বচ্ছতা থাকা উচিত যেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারে কী কারণে টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে ঢালাওভাবে টাকা আদায় করা ঠিক নয়। বিষয়গুলো নিয়ে বোর্ড সভায় আলোচনা করা হবে। এ বিষয় নিয়ে যাতে কোনো প্রশ্ন না ওঠে সে বিষয়ে কাজ করব। কেউ যদি নিয়মের বাইরে কোনো অর্থ আদায় করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button