লিমন হোসেন : দিনাজপুর-১ আসন বীরগঞ্জ- কাহারোলের সর্বোচ্চ ও সীমাহীন দূর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারী সাবেক এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালের সকল প্রকার দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতা, ভুমি দস্যুতা, দলবাজিসহ নানান অপকর্মের নীল নক্সা তৈরী ও বাস্তবায়নকারীদের অন্যতম বীরগঞ্জের মৃত বারী’র পুত্র ভদ্রবেশী মারাত্মক ষড়যন্ত্রের হোতা “ইয়াসিন আলী”।
এমন কোন অপকর্ম নেই, যেখানে এই ছদ্মবেশী স্বার্থপর, লোভী, হীনস্বার্থ হাসিলকারী বাটপার, লম্পট ইয়াসিনের ছোয়া নেই।
বীরগঞ্জ এমনকি কাহারোলেরও সরকারী বেসরকারী প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প তার মাধ্যমে এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বাস্তবায়ন করাতো।
দুই উপজেলার প্রত্যেক সরকারি দপ্তরের অফিসার-কর্মচারীরা ইয়াসিন আলীর নির্দেশনায় বেশীরভাগ কর্মকান্ড পরিচালিত হওয়ায় এমপির জন্য নিয়োগকৃত সরকারি এপিএস-এর সাথে চলত অন্তর দ্বন্দ্ব ফলে কর্মকর্তাদেরকে বিড়ম্বনার মধ্যে কাজ করতে হতো। লেগেই থাকত অসন্তোষ।
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়ামিন হোসেনের সময় কালে ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ জন নৈশ্য প্রহরী কাম পিয়ন নিয়োগ করা হয়।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী তৎকালীন আওয়ামী সরকার সংশ্লিষ্ট স্কুলের ক্যাচমেন্ট এলাকার অষ্টম শ্রেনী পাশ যুবকদের নিয়োগ দেয়ার প্রতি প্রাধান্য দেয়া হয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি/প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। নিয়োগ সংক্রান্ত মুল ভুমিকা পালন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ঐ পদের বিপরীতে ৩০ জন প্রার্থীর নিকট প্রায় ২ কোটি টাকার অধিক তথা প্রতিজনের নিকট ৬/৭ লাখ টাকা বাধ্যতা মুলক উৎকোচ আদায়ের মুল হোতা এই দরবেশ বাবা ‘ইয়াসিন আলী’ নিয়োগ বোর্ডে এমপি’র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে হাতিয়ে নেন ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
অনুসন্ধান করলে প্রমান পাওয়া যাবে টাকার বিনিময় নিয়োগ প্রাপ্তরা সিংহভাগ হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ১ জন চাচাত ভাইসহ ইয়াছিন আলীর স্বজন ৭/৮ জন।
বহুবারের সংসদ সদস্য তথা প্রায় ১৭ বছরের ক্ষমতাশীন এমপি হওয়ায় মনোরঞ্জন শীল গোপাল কেবলমাত্র তার মদদ পুষ্ট ইয়াসিনের মত গুটি কয়েক দূর্নীতিবাজের শলাপরামর্শে পথ চলত, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে সব সময় দলীয় ত্যাগী নেতাকর্মীদের দুরে সরিয়ে রাখত, এমন কি নিজ দলের লোকদের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা করে হয়রানীসহ দৌড়ের ওপরে রাখত এবং নিজের অপকর্ম বাস্তবায়ন করত।
দূর্নীতির গাড়ি গাড়ি অবৈধ টাকা রাতের আধারে এমপি গোপালের জেলা শহর ষ্টেশন রোডের বাসায় পৌছিয়ে দিত “দরবেশ বাবা” ‘ইয়াসিন আলী’।