খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে করোনাকালেও গ্রামাঞ্চলে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি ব্যর্থ হয়েছে। দলবাজির কারণে গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ উপজেলাতেই অভাবী পরিবারসমূহের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা কর্মসূচি পরিত্যক্ত হয়েছে। গ্রামীণ অপরাপর প্রকল্পের বরাদ্দ নিয়েও দুর্নীতি, জালিয়াতি ও দলীয়করণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। প্রয়োজনীয় তদারকি ও জবাবদিীহা না থাকায় বেশুমার দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বেশীরভাগ বরাদ্দই গ্রামীণ গরীবদের কাজে লাগছে না। তিনি বলেন, করোনা মহামারী ও বন্যা দুর্যোগের কারণে নতুন করে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নীচে নেমে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতি চলতে দিলে আরো অসংখ্য মানুষ দারিদ্রপীড়িত অবস্থায় নিপতীত হবে। তিনি ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন সরকারের ভুলনীতি ও বৈষম্যের কারণে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে দারিদ্র পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে।
এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি খেতমজুরসহ গ্রামের গরীবদের লড়াকু সংগঠন ও আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
আজ সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত আহ্বান জানান।
সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকবর খান করোনা ও বন্যা দুর্যোগ পরিস্থিতিতে আন্দোলন ও সাংগঠনিক কর্তব্য সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করেন। সভায় আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, সজীব সরকার রতন, ডা. মনোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক হারুন, রহিমা খাতুন, হামিদুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দীন, এ্যাপোলো জামালী, বাবুলাল, গৌরচন্দ্র মন্ডল প্রমুখ।
সভার শুরুতে করোনা মহামারী, বন্যা দুর্যোগ, হাওরে ট্রলার ডুবি, নারায়নগঞ্জে মসজিদে গ্যাস বিস্ফোরণে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় খেতমজুর ইউনিয়নের আন্দোলনের কর্মসুচি ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিজ্ঞপ্তি।