slider

দীর্ঘ নজরদারীর পর ডেভিল মাহতাব গ্রেফতার

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে গত রোববারে মিছিল থেকে জিন্দাবাজারের বাটা শো-রুম ভাঙচুর ও লোটপাটের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ডেবিল মাহতাবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল তাকে বৃহস্পতিবার সাড়ে ৪টায় সুনামগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে। ছাত্রলীগ নেতা শাফয়াত খানের নেতৃত্বে ধোপাদিঘীর পারে ছাত্রলীগের মিছিলে জনবলের যোগান দেওয়া, জিন্দাবাজারে বাটার শো-রুম ভাংচুর ও লুটপাটে নেতৃত্ব, সিলেটে রোববারে বিভিন্ন প্রতিষ্টানে ভাংচুর ও লুটপাটে জনবলের যোগান দেওয়া, ফেসবুক লাইভে ভাংচুর ও লুটপাটের লাইভ করে জনগনকে উস্কানি দেওয়া, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগের মামলাসহ সরকারী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে দীর্ঘদিন নজরদারীর পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন সিলেটে সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছিল। জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের অস্ত্র সাপ্লাইয়ার ছিল বলে জানাযায়। সে নিজে ও তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নেতৃত্ব দিয়েছে। মুখোশবেঁধে অস্ত্র হাতে ৪ আগস্ট মাহতাব উদ্দিন সিলেটের অনেক ছাত্র-জনতাকে গুলি করে আহত করেছে। কোতয়ালী থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার ৩ আগস্ট চৌহাট্টায় আনোয়ারুজ্জামানের দেওয়া অস্ত্র নিয়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গুলি করেছে। তার গুলিতে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিক রাজন আহমদ গুরুতর আহত হয়েছিলেন। সাংবাদিক রাজনের মামলায় তার স্ত্রী সিলেট মহানগর যুব মহিলালীগের নেত্রী সানজিদা আক্তারকে গ্রেফতারে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরদিনই ডেবিল মাহতাব উদ্দিন তার বটেশ্বরের বাসা থেকে আতœগোপনে চলে যায়। আতœগোপনে থেকে সে পলাতক সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও যুবলীগ ক্যাডার সাজলু লস্করের অর্থায়নে সিলেটে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগকে সংগঠিত করার কাজ করতো। ছাত্রলীগের মিছিলে জনশক্তি সাপ্লাইয়ের প্রধান দায়িত্ব পালন করেছে মাহতাব উদ্দিন। তার কাজে সহযোগিতা করতো হুমায়ুন কবির নামের আরেক ভূয়া সাংবাদিক। হুমায়ুন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সে দেশের পট পরিবর্তনের পর থেকে মাহতাবের সাথে মিলে জিন্দাবাজারের হক সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় বসে আওয়ামীলীগের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। নিরাপদে বসে তারা প্রতিদিন পলাতক সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ও যুবলীগ ক্যাডার সাজলু লস্করের সাথে ভিডিও কলে শলাপরার্শ করতো। তাদেরকে সার্বিক সহযোগিতা করেন হক সুপার মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক ভেনাস জুয়েলার্সের মালিক গোবিন্দ। সুনামগঞ্জে মাহতাব সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের আতœীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটতরাজের অনেক অভিযোগ রযেছে ডেবিল মাহতাবের বিরুদ্ধে। সে গত ২/৩ বছর থেকে সিলেট শহরে বসবাস করে। প্রথমে সে বটেশ্বর বাজারের চুয়াবহর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করলেও ৫ আগস্টে দেশের পট পরিবর্তনের পর সিলেট নগরীর চন্দনটুলা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে আতœগোপন করে। আতœগোপনে থাকা অবস্থায় সে সিলেট নগরীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে দেশ ও রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিল। তাকে গ্রেফতারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক চেষ্টা করেও চতুর ডেবিল মাহতাবকে এতোদিন গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই। অবশেষে র‌্যাবের হাতে সে গ্রেফতার হওয়ায় সিলেট জুড়ে স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলছে মুক্তিকামী জনতা। মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও সিলেট সুনামগঞ্জে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, সন্ত্রাসী, বুঙ্গার মালামাল লুটপাট, র্ধষণ ও সাইবার মামলাসহ অনেক মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন কারাবাস করেছে। বর্তমানে সিলেট ও সুনামগঞ্জে তার বিরুদ্ধে ১৬টির বেশি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানাযায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button