sliderখেলা

দিল্লিকে হারিয়ে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু

একটা আইপিএলে চার চারটা সেঞ্চুরি। আইপিএলের ইতিহাসেই দেখা যায়নি। বিরাট কোহলি দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়, রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রায় সব ম্যাচেই তার অবদান রয়েছে। রোববার রাতে দিল্লি ডেয়াডেভিলসের বিরুদ্ধেও মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিও বেঙ্গালুরু জিতলো কোহলির হাত ধরেই।

দিল্লি-বেঙ্গালুরু ম্যাচে যে জিতবে সেই চলে যাবে প্লে-অফে। রোববার রাতে এমন সমীকরনের ম্যাচে অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে জেতালেন কোহলি। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট এবং নেট রানরেটে এগিয়ে থেকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে টপকে বেঙ্গালুরু পয়েন্ট টেবিলে দুই নম্বরে উঠে গেছে।

১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে সুরেশ রায়নার গুজরাট লায়ন্স। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ তিন এবং সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) রয়েছে চার নম্বরে। এখন এই চারটি দল প্লে-অফে খেলবে। আগেই বিদায় নিয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও ধোনির পুনে সুপার জায়ান্ট। রোববার রাতে শেষ হলো লিগ পর্বের খেলা। বেঙ্গালুরুর ম্যাচের পর বিদায় নিশ্চিত হলো দিল্লি ডেয়ার ডেভিলস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। আগামী ২৪ মার্চে এলিমেনেটর ম্যাচে পরস্পরের মুখোমুখি হবে সাকিবের কলকতা ও মুস্তাফিজের হায়দরাবাদ। চলতি আইপিএলে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হবে দল দুটি।

দিল্লির ১৩৮ রান তাড়া করতে নেমে ৫ রানে ক্রিস গেইল(১) এবং ১৭ রানে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে (৬) হারিয়ে বিপদে পড়ে বেঙ্গালুরু। কিন্তু কোহলি যেন পণ করেই নেমেছিলেন যে বেঙ্গালুরুকে জিতিয়ে তবেই ফিরবেন। হলোও তাই। ৪৫ বলে ছয় চারের সাহায্যে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই ফিরলেন। মাঝে কোহলিকে সঙ্গ দিয়ে গেলেন লোকেশ রাহুল ২৩ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেলে। বাকিদের মধ্যে শেন ওয়াটসন ১৪, স্টুয়ার্ট বিনি অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে। জহির খান, ক্রিস মরিস, পাওয়ান নেগি ও কার্লোস ব্রাফেট প্রত্যেকে পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

এরআগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে দিল্লি স্কোরবোর্ডে জমা করে ১৩৮ রান। আর এতে বড় ভূমিকা রাখেন দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৫২ বলে ৬০ রানের ইনিংস। পাঁচ চারের সঙ্গে ছয় মেরেছেন একটি।

শেষের দিকে ১৮ বলে তিন চারে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন ক্রমেই নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যাওয়া ক্রিস মরিস। বাকিদের মধ্যে সনজু স্যামসন ১৭ ও করুণ নায়ার ১১ রান করেন। ৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন যুবেন্দ্র চাহাল। ১১ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন ক্রিস গেইল। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন কোহলি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button