
মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে মার্কিন মেয়েদের নতুন রেকর্ড। থাইল্যান্ডকে ১৩-০ গোলে হারিয়ে পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে ফুটবল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের নজির গড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। স্ট্রাইকার অ্যালেক্স মর্গ্যান একাই করলেন ৫টি গোল।
ম্যাচের ১২ মিনিটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোলের খাতা খোলেন মরগান। ৮৭ মিনিটে গিয়ে সম্পূর্ণ হয় তার ৫ গোলের বৃত্ত। প্রথমার্ধে যদিও মাত্র একটিই গোল আসে মরগানের পা থেকে। বাকি ৪ গোল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
মরগানের পর প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন রোজ লাভেলা। এরপর ৩২ মিনিটে লিন্ডসে হোরানের গোলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে লকাররুমে যায় তিনবারের বিশ্বজয়ীরা। তবে প্রথমার্ধে থাইল্যান্ডের উপর তাদের আধিপত্য দেখে দ্বিতীয়ার্ধ সম্পর্কে একটা আগাম ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুনরায় বিপক্ষ ডিফেন্সের লকগেট খুলে ফেলে মার্কিনি মেয়েরা। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে চতুর্থ গোলটি আসে সামান্থা মেওয়িসের থেকে। একের পর এক মার্কিনি হামলায় বিধ্বস্ত হতে থাকে থাই রক্ষণ। নিয়মিত ব্যবধানে স্কোরবোর্ড সচল রাখে মার্কিনির। যুক্তরাষ্ট্রের ৭ জন ফুটবলার এদিন নাম তোলেন স্কোরশিটে। দ্বিতীয়ার্ধে মেওয়িসের প্রথম গোলের পর ৫৩ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন মরগান। এরপর একে একে গোলের খাতায় নাম তোলেন মেগান র্যাপিনো, ম্যালরি পাঘ, কার্লি লয়েডরা। এরই মাঝে ৭৪, ৮১ ও ৮৭ মিনিটে আরও ৩ গোল করে হ্যাটট্রিকসহ পাঁচ গোলের বৃত্ত সম্পূর্ণ করেন ম্যাচের নায়িকা মরগান।
২টি করে গোল করেন রোজ লাভেলা ও সামান্থা মেওয়িস। মরগানের পা থেকে আসে একটি অ্যাসিস্টও। অতিরিক্ত সময়ে থাই রক্ষণে শেষ পেরেকটি পোঁতেন কার্লি লয়েড।
ম্যাচ শেষে জানান মরগান জানান, বিশ্বকাপের জন্য আমরা ঠিক কী প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি সেটা আমাদের মাঠে প্রমাণ করার ছিল। আমার মনে হয় আমরা সেটা করে দেখাতে পেরেছি।
থাইল্যান্ডকে ১৩-০ গোলে হারানোর পথে এদিন ২০০৭ আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জার্মানির ১১-০ গোলের জয়ের নজির ছাপিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের মেয়েরা। অভিষেক বিশ্বকাপে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ৭-০ গোলে জয় এতদিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের নজির ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এদিন সেই সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেলেন মরগান-লেভেলারা।
বিধ্বস্ত হওয়ার পর থাইল্যান্ড কোচ বলেন, আমরা কিছুই করতে পারিনি। বিপক্ষ সব বিভাগে টেক্কা দিয়েছে আমাদের। কোনও অজুহাত দিতে চাই না। ফলাফল মেনে নেওয়া ছাড়া আমাদের কোনও উপায় নেই।