নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত শিক্ষার্থী তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার ও মঙ্গলবার তাদের নারায়ণগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে দুজনের ৬ দিন এবং আরেকজনের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন মামুন, শরীফ ও কাজল।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, এর আগে ত্বকী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সুলতান শওকত ভ্রমর এ তিনজনের নাম উল্লেখ করেছিলেন। ওই জবানবন্দীর ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ত্বকী হত্যার ঘটনায় র্যাাব ইউসুফ হোসেন লিটন, সুলতান শওকত ভ্রমর, তায়েব উদ্দীন জ্যাকি ও সালেহ রহমান সীমান্ত নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই র্যাহবের অভিযানে গ্রেপ্তার লিটন প্রথম ত্বকী হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তখন সে জানায়, সালেহ রহমান সীমান্তের জামতলা ধোপাপট্টির বাড়িতে সংঘটিত হয় ত্বকী হত্যাকাণ্ড। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে এ চার আসামী আত্মগোপনে চলে যায়। এখনও তারা পলাতক আছে। মামলার আসামী সুলতান শওকত ভ্রমর তখন তার জবানবন্দিতে বলে, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন আজমেরী ওসমান। তার নির্দেশেই হত্যা করা হয় ত্বকীকে।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ত্বকী। দুদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ সকালে শহরের চারারগোপ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ত্বকীর ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানকে দায়ী করে আসছেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী।