জাতীয়শিরোনাম

তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। রোববার সকাল ৬টায় জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোড সূত্র জানায়, উজানে ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গত শনিবার সকাল ছয়টায় ওই পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে। সে সময়ে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বিকেলে পানি কমে বিপদসীমা বরাবরে প্রবাহিত হয়। রোববার সকালে আবারো বিপদসীমা অতিক্রম করে।
নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমু-া, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী ১৫ গ্রাম ফের প্লাবিত হয়েছে।
ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, গত শনিবার সকাল থেকে নদীর পানি কমাবাড়া করছে। সেদিন বিকেলে খানিকটা কমলেও রোববার সকালে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, সতিঘাট গ্রামের বসতবাড়িতে পুনরায় পানি প্রবেশ করে।
পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, শনিবার বিকেলে পানি কমলে স্বস্তি ফিরে এলাকার মানুষের মধ্যে। এরপর মধ্য রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করলে ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশ্বর গ্রামের ৫০ পরিবারের বসতবাড়িতে পুনরায় পানি প্রবেশ করে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজার রহমান বলেন, রোববার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে শনিবার সকাল ছয়টায় বিপদসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। সেদিন (শনিবার) বিকেলে বিপদসীমা বরাবরে প্রবাহিত হলেও রোববার সকালে পুনরায় বিপদসীমা অতিক্রম করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
সূত্র : বাসস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button