সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ২০২৪/২৫ অর্থ বছরের হাওরের ক্ষতিগ্রস্ত ফসলরক্ষা বাঁধ মেরামতের প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইসি) কমিটি গঠনে ধীর গতি। বাঁধ মেরামতের নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তাহিরপুর উপজেলার ছোট বড় ২৩ হাওরের ৭৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন পিআইসি কমিটির ৩০টি পিআইসি গঠন করা হলেও এখনো বাকি রয়েছে ৪৬টি। হাওরের বোরো ফসলের সুরক্ষায় সরকার প্রতিবছর ফসলরক্ষা বাঁধ কোটি কোটি টাকা নির্মাণে বরাদ্দ দিলেও সময়মতো পিআইসি গঠন ও কাজ শুরু হওয়া নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবাও বিতর্ক পিছু ছাড়েনা। এবারও সময় মতো বাঁধ নির্মাণ ও পিআইসি গঠনে কালক্ষেপণ করে সময় পর করায় উপজেলা জুড়েই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
গতকাল সরেজমিনে হাওর ঘুরে দেখা যায়, নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পার হয়ে গেলেও গঠন হয়নি তাহিরপুর উপজেলার ৭৬টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৬টি পিআইসি। গেল ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষায় বাঁধের কাজ উদ্বোধন করা হলেও গঠিত ৩০ পিআইসির মধ্যে এখনো ২৮ টি পিআইসি বাঁধের কাজ শুরু হয়নি। সময়মতো কাজ শুরু না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে এবারও কাজ শেষ হওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন হাওর পাড়ের হাজার হাজার কৃষক পরিবার ।
এবার তাহিরপুর উপজেলার ছোট বড় ২৩ হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের ৭৬টি প্রকল্পের বরাদ্দ দেয়া হয় ১২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
এদিকে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, হাওর থেকে ধীরগতিতে পানি নামার কারণে (পানি নিষ্কাশন) হওয়ায় কাজ শুরু হতে বিলম্ব হলেও নিধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা এই প্রতিবেদককে জানান।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তাহিরপুর উপজেলার দায়িত্বরত প্রকৌশলী ও হাওর রক্ষা বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব (এসও) মনির হোসেন সংবাদ’কে বলেন, ৭৬ টি পিআইসির মধ্যে এপর্যন্ত ৩০ টি পিআইসির গঠন করা হয়েছে। এবং গত ১৫ ডিসেম্বর তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি আঙ্গারউলি হাওরের ১ নং প্রকল্পে কাজ শুরু করার মধ্যে দিয়ে হাওর রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করি। হাওরের পানি না নামার কারণে গঠিত সবগুলো পিআইসি বাঁধের কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত ১,২ ও ৩ নং পিআইসি বাঁধের কাজ প্রায় ৬০ ভাগ কাজ শেষ করে ফেলেছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি পিআইসি গঠন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা সকল বাধের কাজ শেষ করবো।
হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করতে এবং পিআইসি গঠনে কেন দেরি হচ্ছে জানতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কাবিটা স্কীম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আবুল হাসেমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতেই নারাজ।