সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: তাহিরপুরে এক যুবক কে কৌশল অবলম্বন করে জিম্মির পর মুক্তিপণ আদায় চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।অপহরণের আট ঘন্টা পর ছাড়া পেয়েছেন কাউকান্দি গ্রামের নয়ান মিয়ার ছেলে ফারদিন আহমেদ (২৩)।
(৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে থাকে, (১ অক্টোবর) রাত ১২ টার দিকে চাচাতো ভাই শাজাহান কবির বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে থাকেন।
অভিযোগে উল্লেখ থাকে,সোমাবার সকাল ১১ টার আমার চাচাতো ভাই ফারদিন আহমেদ বাদাঘাট বাজার তথ মোটরসাইকেল স্টেন্ডে মোটরসাইকেল নিয়ে ছিল, মাহারাম গ্রামের জুয়েল মিয়া ও আলামিন মিয় পরিকল্পিত ভাবে রাজাই তাদের দুই জনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে, তাদের কৌশল বুঝিতে না পেরে তাদের নিয়ে রাজাই গ্রামে যায়, রাজাই গ্রামে যাওয়ার পর মোটরসাইকেল থেকে নেমে জুয়েল মিয়া ও আলামিন সহ লুকিয়ে থাকা লোকজন মিলে ফারদিন আহমেদকে হাত-পা বাধিয়া তাহাকে অপহরণ করে রাজাই গ্রামের দক্ষিণ পাশে বর্ডারের কাছা-কাছি নিয়ে ঝোপঝারের ভিতরে ফেলে রাখে এবং তার পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে, তখন ফারদিন আহমেদ, লাল মিয়াকে টাকা না দেওয়ার কথা প্রকাশ করলে এলোপাতাড়ি ভাবে কিলঘুষি ও লাথি মারি শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক চেছা ও নীলাফুলা জখম করে এবং দীর্ঘ ৮ ঘন্টা থাকে জিম্মি করে রাখে, উক্ত বিষয়টি খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তাদের বিষয় জানাইলে পরবর্তীতে বিজিবি এবং পুলিশ এর তৎপরতা টের পাইয়া লাল মিয়া আমার চাচাতো ভাই নোয়াজ আলীর কাছে সন্ধ্যা সাতটার দিকে ফারদিনকে রেখে পালিয়ে যান, বিষয়টি এলাকার গন্যম লোকজনকে অবগত করে চিকিৎসার জন্য ফারদীনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ইনচার্জ অভিযোগ পেয়েছি,ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।