খেলা

ঢাকায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দাপট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট-পর্বে আলোড়ন তুলেছিল তরুণ সিলেট সিক্সার্স। তরুণ অধিনায়ক নাসির হোসেনের তরুণ দল টানা তিন ম্যাচ জিতে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। তাইজুল, নুরুল, হুইটলি, প্লাঙ্কেটরা মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু ঢাকার মাটিতে হলো উল্টোটা। একেবারে নিস্প্রভ তারা। ঢাকায় দাপট দেখালো কুমিল্লা, ঢাকা, রংপুরের খেলোয়াড়রা। বিশেষ করে দলগুলোর পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা।
ঢাকা ডায়নামাইটসের শহিদ আফ্রিদি প্রথম দিনই বলে আগুন ঝরিয়েছেন। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে সেদিন ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। এরপর ব্যাট হাতেও প্রমাণ দিয়েছেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। ১৭ বলে ছক্কা ঝড়ে করেছেন ৩৭ রান। পাঁচ ছক্কা ও এক বাউন্ডারিতে বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।

শহিদ আফ্রিদি
এরপর বলতে হয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের তরুণ হাসান আলির কথা। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করে বিপিএলের এবারের আসরে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। ২০ রান খরচায় এই উইকেটগুলো ঝুলিতে পুরেন তিনি।
পরে ঢাকার দেয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক দুর্দান্ত খেলেছেন। তার ৫৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস জয়ের আনন্দে ভাসিয়েছেন কুমিল্লাকে। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে দলটি।

মোহাম্মদ সামি
পাকিস্তানের আরেক বোলার মোহাম্মদ সামিও ভালো খেলেছেন। রাজশাহী কিংসের হয়ে খুলনার বিপক্ষে চমৎকার খেলেছেন তিনি। ২৯ রানে বিপিএলে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা তারই। ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের হয়ে ৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড এখনো কেউ ভাঙতে পারেননি।
চমক দেখিয়েছেন আরেক পাকিস্তানি বোলার জুনায়েদ খানও। একই ম্যাচে খুলনা টাইটান্সের হয়ে প্রথম ম্যাচেই ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। জয়ের হাসিতে মাঠ ছেড়েছে খুলনা।

হাসান আলি
ঢাকায় বাজিমাত করলো কুমিল্লা
বিপিএলে নিজেদের ম্যাচে হেরেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এরপর থেকে হাসি মুখেই মাঠ ছেড়েছে তামিম ইকবালের এই দল। সিলেট হোক কিংবা ঢাকা, বাকি পাঁচটি ম্যাচে জিতেছে কুমিল্লা। ফলে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে কুমিল্লা। ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে তাদের পয়েন্ট এখন ১০।
সিলেট পর্বে দুটি ম্যাচের একটিতে জিতেছে তারা। আর ঢাকা-পর্বের চারটি ম্যাচেই জিতেছে তামিম ইকবালের দল।
পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা ডায়নামাইটস। আট ম্যাচের চারটিতে জয় ও একটিতে বৃষ্টির কারণে পয়েন্ট ভাগাভাগিতে তাদের পয়েন্ট এখন ৯।
পরের স্থানে খুলনা টাইটানস। সাত ম্যাচের চারটিতে জয় ও একটিতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। নেট রান রেটের কারণে ঢাকা থেকে পিছিয়ে আছে মাহমুদুল্লাহরা।
সিলেটে ত্রাস ছড়ানো সিলেট সিক্সার্স আঠেন চতুর্থ স্থানে। সবচেয়ে অবনতি হয়েছে তাদের। ঢাকায় কোনো ম্যাচেই জিততে পারেনি দলটি। সিলেটে চার ম্যাচের তিনটিতে জয় নিয়ে তাদের সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট।
এরপর মাশরাফি মর্তুজার রংপুর রাইডার্স। ছয় ম্যাচের তিনিটেত জিতে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
রাজশাহী ৪ পয়েন্টট নিয়ে ছয় নম্বরে আর চিটাগং ৩ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে।- ক্রিকইনফো

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button