sliderশিরোনামসুস্থ থাকুন

ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ১৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তিও সর্বোচ্চ ১৭৯২

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গুতে প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। মিনিটে মিনিটে রোগী আসছে হাসপাতালে। গত ২৪ ঘণ্টায় এবছর রেকর্ড সংখ্যক ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। জুলাই মাসের ১৯ দিনে ৯৯ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ১৭ হাজার ৮১৪ জনে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। এর মধ্যে নারী ৮৩ জন এবং পুরুষ ৬৩ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৯২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৭৯২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯২২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৮৭০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ১ হাজার ৭৯২ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৫২ জনে। ঢাকার ৫৩টি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৩৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১৮২ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২৫ হাজার ৭৯২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১৬ হাজার ২৭২ জন এবং নারী ৯ হাজার ৫২০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ হাজার ৯৪ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ১৭ হাজার ৮১৪ জন এবং মারা গেছেন ৯৯ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button