আজিজুর রহমান রাজু,কক্সবাজার : প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন উপজেলায় গিয়ে উদ্যোগতাদের ১০ লক্ষ টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে ডিলার প্রতারক রফিকুল ইসলাম ও উখিয়া কলেজের শিক্ষক হাবিবের বিরুদ্ধে,
রফিকের নিজ বাড়ি ফরিদপুর বলে সবাই বাসা ভাড়া নেন চকরিয়া,আর কলেজ শিক্ষক হাবিবের বাড়ি চকরিয়া উপজেলা। কলেজ শিক্ষক চাকরির সুভাদে কক্সবাজার লিংকরোড় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে বলে জানা গেছে ।
তারা দুইজনে কাশফুল গ্রুম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র দেখিয়ে অধিক লাভের কথা বলে, ডিলার দেওয়ার সপ্ন দিয়ে সহজ সরল ছাত্র ও উদ্যাগতাদের মন ভূলিয়ে কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন রফিক ও হাবিব।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কক্সবাজার, ঈদগাঁও, রামু, টেকনাফ মহেশখালীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি উপজেলার তার প্রতারণা শিকার হয়েছেন কয়েকশো মানুষ । জেলা উপজেলা গুলোতে কাশফুল গ্রুপ নামের ভুয়পো কোম্পানির কাগজ দেখিয়ে প্রতারণা করে ২৪৫ সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ ইসলামি ব্যাংক শাখা লিংকরোড়,ও ২২৩০০৫ নাইফা এন্টারপ্রাইজ ইসলামি ব্যাংকে এই একাউন্ট নাম্বার দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মেরে এখন উধাও হয়েছেন দুইজনে।
কক্সবাজারের জেলা উপজেলাতে সহজ সরল মানুষ ছিল তার প্রথম টার্গেট। প্রতারণার জাল ছিঁড়িয়ে কৌশলে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত। ব্যবসা প্রতিষ্টানে অধিক লাভের সপ্ন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণা করে আসছিল বলে জানান এলাকাবাসী ।
ভুক্তভোগী কক্সবাজারের ঈদগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান রাজু এবং ব্যবসয়ী
নুরুল আজিম মিন্টু ও রামু আবু তৈয়ব,মহেশখালীর জসিম জানান
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আত্মনির্ভরশীল হতে লেখাপড়ার পাশাপাশি উদোক্তার সপ্ন নিয়ে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কাশফুল গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল রফিকুল ইসলাম এর মাধ্যমে তাদের দেওয়া ব্যাংক একাউন্টে টাকা পাঠায়, প্রথমে অল্প মালামাল দিয়ে বিশ্বাস জমিয়ে পরে নতুন করে ব্যাংকে টাকা জমা দিলে সব টাকা মেরে দেই । যখনই টাকা কথা বলি শুরু হয় হুমকিধামকি ও মামলার ভয় দেখানো। পরে বিষয়টি নিয়ে তাদের নামে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। প্রতারক রফিকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে এখন তারা গ্রামে আসেনা বাড়িঘর ছেড়ে তারা পালিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসি জানান।
একই অভিযোগ কক্সবাজার, রামু, চকরিয়া, মহেশখালীর একাধিক ভুক্তভোগী তাদের দাবি রফিকুল ইসলামের প্ররোচনায় পড়ে জমিজমা বন্ধক রেখে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তাদের হাতে তুলে দিয়েছি। এখন প্রতারক রফিক পালিয়ে যাওয়ায় ঋণের টাকা শোধ করতে না পারলে ভিটেমাটি হারানোর আশংকা প্রহর গুনছি।
কক্সবাজার জেলা ইসলামপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনজুর আলমের সাথে কথা হলে তিমি জানান রফিক ও কলেজ শিক্ষক হাবিবের প্রতারণা খবর আমরা শুনেছি তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা শিকার হয়েছেন এমন কয়েকজন আমার অফিসে আসছিল। আমি প্রতারক রফিকুল ইসলাম ও কলেজ শিক্ষক হাবিব কে গ্রেপ্তার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগীতা কামনা করছি।