ডিএনএ পরীক্ষায় শনাক্ত হলো জৈবিক পিতার পরিচয়

সিঙ্গাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ১২ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে জন্ম দিয়েছেন সন্তান। তবে ধর্ষণকারীর বিষয়ে মুখ খোলেননি ধর্ষিতা শিশুটি। ধর্ষিতার মা এ ঘটনায় দুইজনকে আসামী করে মামলা করেন। কিন্তু তদন্তে ওই আসামির সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দেড় বছর পর শনাক্ত হলো ধর্ষিতার জন্ম নেওয়া শিশুর জৈবিক পিতার পরিচয়।
জৈবিক শিশুর পিতা অভিযুক্ত নুর আলম(৩৬)। তিনি উপজেলার খাসেরচর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেন।
সিঙ্গাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। এরপর সে গর্ভবতী হলে ছয় মাস পর বিষয়টি টের পান পরিবার। ভিকটিমের মা বাদি হয়ে ওই গ্রামের দুইজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
এদিকে গত বছরের ১ নভেম্বর ওই শিশুটি একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। আদালতের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এজাহারের ওই দুই আসামীসহ স্থানীয় একজনের ডিএনএ পরীক্ষা করেন। কিন্তু তাদের তিনজনের রিপোর্টই নেগেটিভ আসে। পরে স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে প্রতিবেশি নূর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর)সিআইডির ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী অব বাংলাদেশ থেকে নুর আলমের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে নুর আলমকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
ওসি আরোও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নুর আলম ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন।বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর)দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।