sliderস্থানীয়

ঠাকুরগাঁও -২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী একে এম শামীম ফেরদৌস টগর

মোঃ ইসলাম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগ মনোনয়ন প্রত্যাশী একে এমন শামীম ফেরদৌস টগর।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গনসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি, ছাত্রলীগের (শিখর-রাসেল) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি, উপজেলার আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ একেএম শামীম ফেরদৌস টগর।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গনসংযোগ করেন তিনি। গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
চার যুগ ধরে এ আসনের ২টি উপজেলায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। সাধারন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রার্থনার সাথে সাথে সরকারের উন্নয়নের বার্তা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার,চাড়োল ইউনিয়ন, সনগা, পকানপুর বাজার,দোগাছি বাজার,
ধনতলা ইউনিয়নের, খোঁচা বাড়ি সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজার গুলোতে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক, সভা ও সুধি সমাবেশ করছেন।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে শুধু আওয়ামীলীগ থেকেই
অধ্যক্ষ একে এম শামীম ফেরদৌস টগর সহ দলের ৮ জন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। আর এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গীতে প্রার্থীর সংখ্যা ৭জন হলেও হরিপুর উপজেলা থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন একেএম শামীম ফেরদৌস টগর।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৮টি, হরিপুর উপজেলার ৬টি ও রানীশংকৈল উপজেলার ২টিসহ ১৬টি ইউনিয়নকে নিয়ে আসনটি গঠিত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও এ দুই আসনে থেকে আওয়ামীলীগ ও বিএনপিসহ অন্য দলের যিনিই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অধিবাসী। এ কারণে হরিপুর উপজেলা সুষম-উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি নানা বৈষম্যের শিকার।
দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আঞ্চলিকতার ঐক্যের ডাক দিয়ে দীর্ঘ চার যুগ ধরে দলের দায়িত্ব পালনের পর থেকেই মাঠ ধরে রেখেছেন আওয়ামীলীগের এই নেতা। তিনি শাসক দলের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করে আসলেও দলী কোন বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেননি।
তিনি আওয়ামী লীগের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ।
বুকে আগলে রেখেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে।
মসজিদ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে তার দান অনুদান। বিপদ-আপদে সাধারন মানুষের পাশে দাড়াচ্ছেন। একারণে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে দুই আসনের হাট-বাজার, গ্রামে গঞ্জে, দলীয় নেতা কর্মীদের দেয়া বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একেএম শামীম ফেরদৌস টগর কে এমপি হিসেবে দেখতে চাই। গনসংযোগ ও পথসভায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, শামীম ফেরদৌস টগর এমপি প্রার্থী হিসেবে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে পরিচিত একজন মুখ। তিনি এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। স্থানীয় এলাকা বাসি মনে করেন ঠাকুরগাঁও -২আসনে অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় তিনি দলীয় মনোনয়নের যোগ্য প্রার্থী।
যে কারণে আমরা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামের কাছে দাবি করছি ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে তাকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
এবিষয়ে শামীম ফেরদৌস টগর বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের চিত্র ” জনগনের মাঝে তুলে ধরছি এবং আমি নৌকা প্রেমী আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার জন্য সাধারণ জনগণের সাথে মত বিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাত করছি এবং সকলকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি ।
তিনি আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দিবেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মানুষ সাধারণ জনগণ নৌকায় ভোট দিবেন আমি সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থী ।
বাংলাদেশের একমাত্র উপজেলা হরিপুর যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামী লীগের কেউ এমপি হয়নি। ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরত্ব। হরিপুর বালিয়াডাঙ্গী উপজেলাবাসির আশা উন্নয়নের স্বার্থে নেত্রী এবার হরিপুরে এমপি দিবেন। শামীম ফেরদৌস টগর বলেন
সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রেল যোগাযোগ, পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। হরিপুরে কিছু মৌলিক সমস্যা রয়েছে, হরিপুরবাসী অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত, এখানে ট্রেন যোগাযোগ নেই, কোন ইন্ডাস্ট্রি নেই, শিল্পকল কারখানা নেই। আমি যদি কাজ করার সুযোগ পাই চেষ্টা করব হরিপুরে স্থলবন্দর করা যায় কিনা। কাজের সুযোগ পেলে সুষম বন্টণের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও- ২আসনের যে অসম্পূর্ণ কাজগুলো আছে তা আমি করব।
তিনি আরো বলেন, হরিপুরে ডিগ্রী কলেজ কয়েকটা রয়েছে। কিন্তু অনার্সের কোন কোর্স নেই। অনার্স পড়তে হলে ঠাকুরগাঁও জেলায় বা দিনাজপুর, রংপুর যেতে হয়। আমাদের সরকার শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষানুরাগী শিক্ষাখাতে সরকারের নেক দৃষ্টি আছে। সুযোগ পেলে শিক্ষা সেক্টরকে আরো উন্নত করা হবে। আমি জাতির পিতার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করছি। পরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনা ও মতবিনিময় করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button