sliderস্থানীয়

ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে উঠছে নতুন আলু দাম পেয়ে খুশি কৃষকেরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন আলু। আলুর বাজারদর ভাল হওয়ায় কৃষকেরা খুশি। তবে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন হাট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু উঠলেও দাম একটু বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এ আলুগুলো কৃষকেরা বেশি দাম পাওয়ার আশায় আগেই লাগিয়েছিলেন। এছাড়াও কিছু আলু আর কয়েকদিনের মধ্যেই উঠানো হবে। আর কিছু আলু লাগানো হচ্ছে এখন। এ তিন প্রকার আলু নিয়ে বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। আর যেগুলো কিছুদিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে উঠানো হবে সেগুলোর ফলনও আশাতীত হতে পারে। এছাড়াও বীজের জন্য দেরীতে লাগানো আলুরও ফলন ভাল হতে পারে বলে জানা যায়। তবে নতুন আলু বাজারে উঠলেও দাম একটু বেশি। কার্ডিনাল জাতের আলু কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। গ্যানেলা জাতের আলু কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী আলু প্রতি কেজি (পুরাতন ও নতুন) ৮০-১শ টাকা দরে। এছাড়াও এন্টারিজ, গ্যানেলা, ডায়মন্ড, শাগিতা, ভোজাগোল্ড জাতের আলুও আবাদ করা হচ্ছে। অপরদিকে বাজারে বেশ কিছু কোম্পানীর বীজ বিক্রি হলেও কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে বীজের আলুর জন্য বীজতলা তৈরী করেছেন। আর সেখানে ভাল বীজ উৎপাদন করতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষকেরা। ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে এ বছর জেলায় আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে আবাদ অর্জন ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে স্থানীয় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৯শ হেক্টর জমিতে। এতে আবাদ অর্জন ধরা হয় ৮৭০ হেক্টর জমি। উফশী জাতের আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২৬ হাজার ৬শ হেক্টর। এতে আবাদ অর্জন ধরা হয় ৩১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমি।

ঠাকুরগাঁও সদর নারগুন গ্রামের কৃষক মো: কামাল হোসেন জানান, তিনি ১২ বিঘা (৬শ শতক) জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির আলু লাগনোর কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তিনি জানান প্রায় (৩শ শতক) জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু ইতিমধ্যে তুলে বাজারে বিক্রি করেছেন। আরও কিছু জমিতে আলু চলমান রয়েছে। তার মতে গত বছর আলুর ফলন ভাল হওয়ায় এবং দাম চাহিদামত পাওয়ায় এ বছর তিনি আলু লাগিয়েছেন বেশি। এ বছরও দাম পছন্দমত পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় এ মৌসুমে বর্তমানে ৩ ধরনের আলু নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকুল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলমান আলুর ফলন আশাতীত হয়ে কৃষকেরা ন্যার্য্য মুল্য পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button