যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠায় মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ ১৪ শিক্ষার্থীর আবারো পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বিহার রাজ্য সরকার। এক টিভি সাক্ষাৎকারে তাদেরকে করা প্রশ্নের সব উদ্ভট উত্তর দিয়েছিল এসব শিক্ষার্থী। আর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। টনক নড়েছে সরকারেরও। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে- সরকারের এমন আশঙ্কা থেকেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে আবার পরীক্ষার টেবিলে বসানোর।
রুবি রায় নামের ১৭ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে রান্না সংক্রান্ত বিষয় বলে উল্লেখ করেছিল। সৌরভ শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানে উচ্চ নম্বর পাওয়া এক ছাত্র বলেছিল পর্যায় সারণির সবচেয়ে সক্রিয় উপাদনটি হচ্ছে অ্যালুমিনিয়াম।
রুবি রায়সহ আরো কয়েকজনের সাক্ষাৎকারের ভিডিওটি ভারতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া গেল বছর তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, এই রাজ্যের একটি স্কুলের দেয়াল টপকে শিক্ষার্থীদের নকল সরবরাহের চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতাসহ অন্যরা।
এ ঘটনায় বিব্রত রাজ্য সরকার চলতি বছর যেন এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য নকল করা ও সরবরাহের ঘটনায় জরিমানা এবং কারাদণ্ডের বিধান ঘোষণা করেছিল।
গত সপ্তাহে রাজ্যটিতে মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, পাশের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তাতে ধারণা করা হয়েছিল, সরকারের উদ্যোগ কাজে দিয়েছে। অন্ততপক্ষে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী রুবি রায়ের সাক্ষাৎকার সম্প্রচারিত হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ধারণা পোক্তই ছিল।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, মানবিক শাখার রুবি রায়সহ রসায়ন বিষয়ে সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারায় বিজ্ঞান শাখায় প্রথম হওয়া সৌরভ শ্রেষ্ঠর ফলাফল অবিলম্বে স্থগিত করা হয়েছে।
বিহারের পরীক্ষা বিষয়ক চেয়ারম্যান লালকেশওয়ার প্রসাদ সিং ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই দুই শিক্ষার্থীসহ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আরো ১২ জন শিক্ষার্থীকে ৩ জুন লিখিত পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত প্যানেলের কাছে মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।
তাদের হাতের লেখাও পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।