
স্টিফেন্স, পুরো নাম বেথানিয়ান লিন স্টিফেন্স। ছোটবেলা থেকেই দুটি কুকুর ছানা পুষতেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় তিনি বসবাস করতেন। কুকুর দুটি তার খুব প্রিয় ছিল। তার আদরে বড় হয়েছে কুকুর দুটি। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবারও বিকেলে পোষ্যদের নিয়ে হাটতে বের হন স্টিফেন্স। কিন্তু সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত বাড়ি ফিরেননি তিনি। তাই মেয়েকে খুঁজতে বের হন বাবা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঝোপঝাড়ে পান মেয়ে লাশ, পাশে দাঁড়িয়ে ভয়ঙ্কররূপে কুকুর দুটি!
পুলিশ জানিয়েছে, তার সাথে থাকা কুকুর দুটিই কোনো কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলেছে।
ভার্জিনিয়ার রিচমন্ড শহরের ৩০ মাইল দূরের গ্রামীণ এলাকা গুচল্যান্ডের বাসিন্দা ছিলেন স্টিফেন্স। বৃহস্পতিবার রাতে গাছগাছালি ভরা একটি জায়গায় মেয়ের লাশ খুঁজে পান বাবা। দেখতে পান পাশেই দাঁড়িয়ে আছে তার পোষা কুকুর দুটি। তাদের চেহারাই আক্রমণাত্মক, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লেগে আছে ছোপ ছোপ রক্ত।
২২ বছর বয়সী স্টিফেন্সের কিছু পোশাকও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে ঘটনাস্থলের কাছে।
পোস্টমর্টেম শেষে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, কুকুরের হাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কুকুর দুটি কেন হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে মনিবের ওপর তার কোনো ব্যাখ্যা পায়নি তারা।
গুচল্যান্ড কাউন্টির শেরিফ জিম এগনিউ বলেন, আমার ৪০ বছরের আইন পেশায় এমন ভয়াবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করিনি।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আক্রমণের পরপরই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, এরপর কুকুর দুটির একের পর এক কামড়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আঘাতের ধরন দেখে মনে হচ্ছে, তিনি বাঁচার জন্য দুই হাতে দিয়ে কুকুর দুটিকে প্রতিহত করতে চেষ্টা করেছেন। তাই হাত দুটি ক্ষত-বিক্ষত।
তবে স্টিফেন্সের এক বন্ধুর বক্তব্যে সন্দেহ দানা বেধেছে। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘স্টিফেন্স ছোট থেকে কুকুর দুটিকে পুষছেন। এরা তাকে হত্যা করতে পারে না।’
সূত্র : ওয়াশিংটন পোস্ট