মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় স্বস্তি ফিরছে নিত্যপণ্যের বাজার।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম আরো কমেছে। দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও তবে চালের দাম কমেনি।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এবার শীতের সবজি ভালো ফলন হওয়ায় পণ্যের হাট-বাজারে দাম কমে এসেছে শীতকালীন সবজির। ফলন ভালো হওয়ায় সরবরাহ ও বেড়েছে। প্রতি কেজি সবজি মিলছে ১০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। সবজির দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, এ বছর সবজির ফলন ভালো হয়েছে। সরবরাহ বাড়ায় দাম ও কমেছে। ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী শহরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস বাঁধাকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা ও ফুলকপি ৮ থেকে ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, শিম বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি, মূলা ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিতে আর মিষ্টি কুমড়া মান ভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া কাঁচামরিচের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে। গাজর ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
সবজি ক্রেতা মোঃ দুলাল মিয়া বলেন শীতকালে সবজির দাম প্রতিবছরই কমে। এবছর আরও সহজলভ্য হয়েছে। এখন ১০০ টাকার বাজার করলেই ব্যাগ ভরে যাচ্ছে।
আগে ৪০০-৬০০ টাকার বাজার করলেও এতগুলো পাওয়া যেতো না। বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম কমে এসেছে।
অল্প টাকাতে সবজি কিনতে পেরে আমরা ও খুশি। এখন ইচ্ছে মতো বাজার করা যায়। তিনি আরও বলেন, এখন শুধু সবজির দাম কমেছে। মাছ-মাংসের দাম আগের মতোই আছে। সবজি ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন, এ বছর শীতের সবজির ফলন ভালো হয়েছে। আমরাও কম দামে কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনতে পারছি। তাই অল্প লাভেই বিক্রি করতে পারছি। আমরা কৃষকদের জমি থেকে সবজি এনে বিক্রি করি।
এখন বাজার সস্তা। কম দামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশি। ফুলকপি সহ অন্যান্য শীতের সবজির অনেকটাই দাম কমেছে। হাতের নাগালেই রয়েছে সব সবজির দাম।
স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে।
এছাড়া বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, মাগুর ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।