রংপুর ব্যুরোঃ রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা, রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও রংপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টু ব্রেইন স্টোক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর ৪.৩৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি- রাজিউন) । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, এক ছেলে সন্তান, ভাই-বোনসহ আসংখ্য আত্বীয়-স্বজন, শুভাকাংখী ও হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মী-ভক্ত রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সামসুল হক ঝন্টুর মরদেহ শেষ বারের মতো নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ বিএনপি কার্যালয়ে নেয়া হয়। শেষবারের মতো প্রিয় নেতা ঝন্টুকে দেখতে যান রংপুর জেলা যুবদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সেখানে তাকে সকল নেতা কর্মিরা শেষ শ্রদ্ধা নিবেন করেন। পরে বাদ আছর রংপুর পলিটেকনিক্যাল কলেজ মাঠে মরহুর সামসুল হক ঝন্টুর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন কন্দ্রীয় যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, রংপুর বিভাগীয় সহ-সভাপতি চৌধুরী মহিবুল্লাহ আবু নুর, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, ঝন্টুর বড় ভাই কামরুল ইসলাম ও একমাত্র ছেলে প্রমুখ। এসময় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাড. মাহফুজ উন নবী ডন, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু, জাতীয় পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক লিটন পারভেজ, কাউনিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান মিঠু, হারাগাছ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাদাকাত হোসেন ঝন্টু, বাংলার চোখের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন আশরাফী, জেলা ওলামা দল আহবায়ক ইনামুল হক মাজেদী, সদস্য সচিব আব্দুল মমিন জিহাদী, মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক শাহ নেওয়াজ লাবু, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক ও দপ্তর সম্পাদক হারুন উর রশিদ সোহেলসহ রংপুরের বিএনপি ও যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও ঠিকাদার সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কয়েক হাজার মানুষ জানাযার নামাজে অংশ নেয়। পরে জানাজা শেষে তাকে শালবন মিস্ত্রীপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।