
রতন রায়হান, রংপুর: রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি’র প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা এবং উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ করদাতা শিল্পপতি মরহুম আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন ভরসার সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব এমদাদুল হক ভরসা এখন জনগণের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন “জুলাই যোদ্ধা” নামে। তিনি শুধু রাজনীতিক নন, বরং গণআন্দোলন ও জনজাগরণের এক প্রতীক। তাঁর পিতা, উত্তরবঙ্গের কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ মরহুম আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন ভরসার আদর্শ ও পথ অনুসরণ করেই তিনি রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এমদাদুল হক ভরসা সরাসরি মাঠে ময়দানে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অন্যতম ফ্রন্টলাইনের নেতা হিসেবে তাঁর সাহসী ভূমিকা কাউনিয়া-পীরগাছা বাসীর হৃদয়ে গেঁথে যায়। তখন থেকেই তাঁকে “জুলাই যোদ্ধা” বলে সম্মান জানায় এলাকাবাসী। শিল্পপতি হিসেবে এমদাদুল হক ভরসা দীর্ঘদিন ধরে নিজ অর্থায়নে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে তাঁর অবদান চোখে পড়ার মতো। বিশেষভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে।
জাতীয় নির্বাচনে একাধিকবার অংশ নিলেও, স্থানীয়দের দাবি—তাঁর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দুর্নীতিগ্রস্ত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে তিনি পরাজিত হন। ভরসা দাবি করেন, প্রতিবারই প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁকে ঠেকানো হয়েছে। এই সরকারের আমলে তিনি বহুবার মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন বলেও জানান।
তবুও হার মানেননি এমদাদুল হক ভরসা। তিনি বলেন, “জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি। এইবার কাউনিয়া-পীরগাছার মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ইনশাআল্লাহ। আমি আশাবাদী, জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।”
এখন সময়ের দাবি—একজন সাহসী, সৎ ও জনবান্ধব নেতার নেতৃত্বে রংপুর-৪ আসনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সূচনা।