পতাকা ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ তবে কোরবানি দিতে হয়েছে কয়েক শ’ প্রাণ। জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের মধ্যে রাজধানীর উত্তরায় কতজন আছেন তার সংখ্যা প্রকাশ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সংখ্যা প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি জানায়, প্রথমে স্মরণ করতে চাই সেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের, ১৯৭১ সালে যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা এই সুজলা, সুফলা, স্বাধীন মাতৃভূমি পেয়েছিলাম। সেই সাথে আজ স্মরণ করতে চাই চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সকল শহীদদের যাদের তাজার রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করে স্বাধীনতাকে নতুন করে উপলদ্ধি করতে পারছি। আরোগ্য কামনা করছি আন্দোলনে আহত হওয়া সকল বীর সৈনিক ভাই-বোনদের জন্য।
সংগঠনটি আরো জানায়, গণঅভ্যুখানের পরে জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স শহীদ ও আহতদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণে তখ্য সংগ্রহ, ডকুমেন্টারি ফ্লিম তৈরি ও প্রচার এবং ওয়েবসাইটভিত্তিক ডিজিটাল আর্কাইভ তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই, জুলাইয়ের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণ ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে। আমরা চাই, এই বিপ্লবের ইতিহাসের কোনোভাবেই যেন বিকৃতি না ঘটে। আমাদের উদ্দেশ্য ‘যেকোনো মূল্যে জুলাই বিপ্লবকে বাঁচিয়ে রাখা’। আমরা বিশ্বাস করি, ‘যদি জুলাই ভুলে যায় বাঙালি, হেরে যাবে বাংলাদেশ’।
জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স জানায়, ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় ঠিক কতজন শহীদ হয়েছেন তার সঠিক সংখ্যা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। আমরা জুলাই রেভ্যুলেশনারী এলায়েন্স চেষ্টা করছি গণঅভুত্থান পরবর্তী শহীদের তালিকা যথাযথভাবে তৈরি করার।
এতে বলা হয়, আজ আমরা রাজধানী ঢাকার শুধু উত্তরার রাজপথে শহীদ হওয়া শহীদদের তালিকা প্রকাশ করছি। আমারা ৯২ জন বীর শহীদকে তালিকাভুক্ত করেছি। তবে আমাদের ধারণা শহীদের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
আমাদের শহীদ তালিকার মধ্যে রয়েছেন- ২৫ জন শিক্ষার্থী, ১৯ জন চাকরিজীবী, ১০ জন ব্যবসায়ী, পাঁচজন গাড়ি/রিকশাচালক, দু’জন মসজিদের ইমাম, একজন ডাক্তার ও ১১ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের।