sliderরাজনীতিশিরোনাম

জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে আ’লীগের বিচার দাবি জাতীয় নাগরিক কমিটির

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের ১০০ দিন উপলক্ষে জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগের ভূমিকার বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।

শহীদ পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসনের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসা বক্তারা ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জোরালো দাবি জানান।

সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘কতিপয় উপদেষ্টার ব্যাপারে জনগণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নাগরিক কমিটি এই উপদেষ্টাদের কাছ থেকে স্বচ্ছ প্রতিক্রিয়া দাবি করে। আওয়ামী লীগের মিত্ররা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এদের সরাতে হবে, নইলে ছাত্র ও জনগণ আবার জেগে উঠবে। প্রয়োজনে আমরা দেখাবো ক্ষমতার আসল উৎস জনগণ।’

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আর্থিক প্রণোদনা, আইনি মামলা বা অন্য কোনো উপায়ে ব্যবসা, শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক খাতে আওয়ামী লীগের মিত্রদের সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ধরনের চর্চা বন্ধ করতে হবে, নয়তো রাজনৈতিক দৃশ্যপট ছাত্রদের দখলে চলে যাবে। এসব ইস্যু অব্যাহত থাকলে জনরোষের কারণে নির্বাচনের বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে।’

আহতদের ওপর নির্যাতনের সমালোচনা করে নাসির বলেন, ‘রক্তপাত যেন বিক্রির পণ্য না হয়। কিছু গোষ্ঠী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করে মুক্তিযুদ্ধের সনদ জাল করেছে। অভ্যুত্থানের ঘটনাবলীর ক্ষেত্রেও আমরা একই ঘটনা ঘটতে দেব না।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সাংগঠনিক দায় আওয়ামী লীগের। ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ছাত্র আন্দোলন দমনোর জন্য ছাত্রলীগ একাই যথেষ্ট। আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে নাগরিকদের নিরাপত্তার চেয়ে দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে, যার ফলে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।’ তিনি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন হলেও তার পা ছুঁয়ে সালাম করা রাষ্ট্রপতিকে আমরা পদত্যাগ করাতে পারিনি। বাকশালের মূলনীতি আর সংবিধানের মূলনীতি এক। সেই সংবিধান দিয়ে কি রাষ্ট্র চলবে? ছাত্ররা যখন বলছে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করতে হবে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলছে রাষ্ট্রপতিকে চাপ দিয়ে কাজ করানো যাবে, উনি থাক। তারা নির্বাচন দিয়ে দ্রুত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে চায়।’

সূত্র : ইউএনবি

 

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button