কক্সবাজার ব্যুরো: দেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার উপেক্ষিত হওয়ায় গুম-খুন ও লুটতরাজ হয়েছে। জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ছিল পরিবর্তন ও সংস্কার। বৃহস্পতিবার উখিয়া কোটবাজারের গণসমাবেশে এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ এই কথা বলেন।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর কসম বলেন,
এবি পার্টি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
গণসমাবেশের প্রধান বক্তা ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবার ব্যবসা বন্ধ হওয়া দরকার। জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ছিল পরিবর্তন ও সংস্কার। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আগের মতই চলে, নাগরিকদের সেবা দিতে আন্তরিক না হয়, সমস্যার সমাধান করতে না পারে তাহলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবেনা।
বৃহষ্পতিবার বিকেলে কোর্টবাজারে উখিয়া উপজেলা এবি পার্টি আয়োজিত এক গণসমাবেশে ব্যারিষ্টার ফুয়াদ একথা বলেন।
এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব সাংবাদিক শামসুল হক শারেক এর সভাপতিত্বে কোর্টবাজার দক্ষিণ ষ্টেশনে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক, ইয়াবা, ফেন্সিডিল আসা এখনো বন্ধ হয়নি। হাজার হাজার নাগরিক প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে ও মারা যাচ্ছে। যে সকল রাজনৈতিক দল এগুলোর সমাধান করতে পারবে না, তাদের দেশ পরিচালনার কোন এখতিয়ার থাকতে পারে না।
ভারত থেকে আমদানী করবার নামে জেলার হাজার হাজার লবণ চাষিকে পথে বসিয়ে দেবার চক্রান্তের সমালোচনা করেন ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফু্য়াদ।
তিনি এবি পার্টির সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনীতি তুলে ধরে বলেন, ব্যক্তি ও বংশ পূঁজার রাজনীতির পতন হয়েছে জুলাই-আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। নতুন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু হতে হবে নাগরিক ও তাদের সেবা এবং অধিকার।
গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক জাহাঙ্গীর কাশেম বলেন, অতীতের সরকার গুলো মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পত্রে উল্লেখিত সাম্য মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার উপেক্ষা করে দেশ পরিচালনা করেছে। যার কারণে দেশের লুটপাট সন্ত্রাস গুম-খুন ও হত্যা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এবি পার্টি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে একটি উন্নত কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা যথাক্রমে ব্যারিষ্টার সানি আব্দুল হক ও এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লবণ চাষী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এডভোকেট শাহাবুদ্দিন, উখিয়া উপজেলা আহ্বায়ক সৈয়দ হোসাইন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হাকিম খান, বখতিয়ার আহমদ ও জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা নেজামে ইসলাম পার্টির প্রচার সম্পাদক মাওলানা আবুল মন্জুর ও কক্সবাজার জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা শফিউল আলম।
সার্বিক অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, উখিয়া উপজেলা সদস্য সচিব জাহেদুল করিম।