জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন যুবরাজ

ভারতের বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহ এসেছিলেন ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ ৯ সিজিনের ফাইনালে। বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ওই শোয়ের সঞ্চালক। অনুষ্ঠানে বিদ্যা বালনের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন যুবি। সেখানে তিনি তার ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কাহিনী বলতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন।
৩৫ বছরের তারকা ক্রিকেটার বলেছেন, তার ক্যানসার হয়েছে, এ কথা বিশ্বাস করাটাই তার পক্ষে কঠিন ছিল। তার কথায়, ‘দিনে ৬-৮ ঘন্টা খেলছি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বাস করা কষ্টকর ছিল যে, আমার ক্যানসার হয়েছে’।
২০১১-র বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট বলেন, ‘এক দিন রাতে ঘুম থেকে উঠে লাল রঙের শ্লেষ্মা দেখতে পাই। চিকিত্সায় ১৪ সেন্টিমিটার টিউমার ধরা পড়ে। কিন্তু আমি খেলা থামাইনি। এতে আমার স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়ে পড়ে। চিকিত্সর বলেন, ক্যানসারের চিকিত্সা এখনই শুরু না করলে তোমার বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে’।
উল্লেখ্য, ২০১১-তে ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরই যুবির ফুসফুসে টিউমার ধরা পড়ে। তবে তা নিরাময়যোগ্য ছিল। চিকিত্সার জন্য আমেরিকায় যেতে হয় তাঁকে।
চিকিত্সা শেষে পরের বছর দেশে ফিরে আসেন। এরপর জাতীয় দলে ফের কামব্যাক করেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে ছয় বলে ছটি ছক্কা মেরে রেকর্ড তৈরি করা যুবরাজ তিন বছর পর চলতি বছরের শুরুতে একদিনের দলে ফিরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাঁর কেরিয়ারের ১৪ তম সেঞ্চুরি করেন।
ভারতের হয়ে শেষবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে খেলেছেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞ যুবরাজ সিং
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞ যুবরাজ সিংহ। ক্যানসার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য যুবরাজ ও তার ফাউন্ডেশনের কাজের প্রশংসা করে একটি চিঠি লেখেন মোদি। সেই চিঠিটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন যুবরাজ।
চিঠিতে মোদী লিখেছেন, যুবরাজ যেভাবে ক্যানসারকে পরাজিত করেছেন, তা বহু ভারতীয়র কাছে প্রেরণা।
২০১১-য় বিশ্বকাপ জয়ের কিছু পরেই যুবরাজের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। ২০১২-র মার্চে ক্যানসার মুক্ত ঘোষিত হন তিনি। সগৌরবে ফিরে আসেন ভারতীয় দলে। বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান সে বছরই তৈরি করেন নিজের ফাউন্ডেশন ইউ উইক্যান ফাউন্ডেশন। এই সংস্থার লক্ষ্য হল ক্যানসার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এই রোগের সঙ্গে লড়তে শেখানো। এবিপি আনন্দ।