
পতাকা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আজ আলোচনা সভার আয়োজন করে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি’র নারী বিভাগ। সভায় এবি পার্টির নারী নেত্রীরা সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সময়ে বিভিন্ন হেনস্তা, গণ পরিবহনে নানা ধরনের হয়রানি, কর্মজীবী নারীদের কর্মস্থলে নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে তারা কথা বলেন। পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, সমাজে নারীবাদীরা নানা কথা বলেন কিন্তু নারীদের মৌলিক সমস্যা ও কাজ নিয়ে তাদের ভুমিকা খুব বেশি গ্রহণযোগ্য নয়। তারা নারীদের সম্মান, মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় এবি পার্টির ভুমিকার কথা তুলে ধরেন। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ফিলিস্তিনে আজ নির্বিচারে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, গর্ভবতী মায়েরা খাবারের অভাবে বাচ্চা জন্ম দিতে পারছেনা অথচ পৃথিবীর মানবাধিকার, নারী অধিকার নিয়ে সচেষ্টরা নির্বাক। অবিলম্বে এই নির্বিচার হত্যা বন্ধ করতে হবে।
এবি পার্টির নেতারা বলেন, জালিমের নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি কাঁদে আমাদের মায়েরা, নারীরা, কাজেই অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আমরা তাদের পাশে চাই।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, অন্যতম নারী নেত্রী সুলতানা রাজিয়া’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, নারীরা এখনো সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে পিছিয়ে রয়েছে। সময় এসেছে তাদের এগিয়ে নিয়ে আসার। তিনি বলেন, আমরা যখন নারী দিবস নিয়ে কথা বলছি তখন ইসরাঈল নির্বিচারে ফিলিস্তিনের নিরীহ নারী শিশুদের নির্বিচার হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমাদের প্রধান দাবি অবিলম্বে গাজায় নিরীহ নারী শিশুদের নির্বিচার হত্যা বন্ধ করতে হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, কিছু নারীবাদীরা সমাজে নারী ও পুরুষদের মুখোমুখি দাড় করাতে চায়, অথচ পৃথিবীর সকল জয় এসেছে নারী পুরুষের পাশাপাশি একসাথে চলার মাধ্যমে।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, জালিমের নির্যাতনে সবচেয়ে বেশি কাঁদে আমাদের মায়েরা, নারীরা। এই সরকার ক্ষমতায় এসে যত মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে তার জন্য তাদের মায়েরা, সন্তানেরা আজ দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। এই সমস্ত গুম, খুনের প্রতিবাদ করতে একজন গুম হওয়া ভাইয়ের বোনেরা গড়ে তুলেছে “মায়ের ডাক” নামক মানবাধিকার সংগঠন। যা সারা বিশ্বে ভুমিকা রাখছে। আমাদের মা বোনদের এখন আমরা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পাশে চাই। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের বিরাট অবদান রয়েছে, তেমনি এখন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মুক্তি ও রাষ্ট্র পূণর্গঠনের আন্দোলনেও নারীদের আন্তরিক ভূমিকা রাখতে হবে।
শাহীনুর আক্তার শীলা গণপরিবহনে নানা হয়রানির বিষয় তুলে ধরেন।
নারী নেত্রী আমেনা বেগম তার অসহায় অবস্থান থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার সমস্যা সমুহ বর্ণনা করেন।
শ্রমিক নেত্রী আজিজা সুলতানা গার্মেন্টস শ্রমিকদের হয়রানি নিয়ে কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ও নারী নেত্রী শাহীনুর আক্তার শীলা, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, আমেনা বেগম, রুনা হোসাইন ও বিশিষ্ট শ্রমিক নেত্রী আজিজা সুলতানা সহ পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্রীরা।