
জামালপুরের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি স্থিতিশীল থাকলেও এখনও বিপদসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনার বিভিন্ন শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা।
নতুন করে মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, দুরমুঠ, নাংলা, কুলিয়া, ফুলকোচা ও ঝাউগড়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বন্যার পানি। সবমিলিয়ে জেলায় ৩৮ টি ইউনিয়ন ও ৫টি পৌরসভার আড়াই লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে পানি ওঠায় দুর্গত এলাকায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ।
দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে পাট, আমনের বীজতলা, আউস ধান, সবজিসহ অন্তত ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশ রূপান্তর