
আরশাদ উল্লাহ্
নাগানো বিভাগটি মধ্য জাপানের কান্তো এলাকাতে। এই এলাকাতে টোকিও, সাইতামা, কানাগাওয়া ও চিবা বিভাগ ছাড়াও আরো কয়েকটি বিভাগ আছে। নাগানোর অধিকাংশ এলাকা পার্বত্য অঞ্চল।
প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলিতে সমৃদ্ধ নাগানোতে ‘উইন্টার অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছে’। কারণ, শীতকালে প্রচুর তুষারপাত হয় নাগানোতে। প্রায় সবগুলি পর্বতের চূড়া বরফে সাদা হয়ে যায়। উইন্টার অলিম্পিকের জন্য উপযুক্ত স্থান নাগানো বিভাগ।
টোকিও থেকে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও বুলেট ট্রেনেরও চলাচল আছে। তাইফুন – ১৯ কে ‘হাগিবি’ নাম দেয়া হয়েছে। দুদিন যাবত তাইফুন ও ক্রমাগত বৃষ্টিপাতের কারণে নাগানোর ‘চিকুমা নদীর’ পাকা বেরিবাঁধ পাহাড়ি ঢলের খরস্রোতা পানির চাপে ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল এলাকার আবাসিক এলাকাটি মুহূর্তে ডুবে যায়। বাড়ির দুতলায় পানি উঠেছে। আগে থেকেই সরকার সমুদয় ব্যবস্থা করে রেখেছিল।
কিন্তু বেরিবাঁধ ভেঙ্গে যাওয়াতে ফায়ার সার্ভিস, জাপান ডিফেন্স ফোর্স ও পুলিশের গাড়ি আবাসিক এলাকাটিতে আবদ্ধ পরিবারগুলিক উদ্ধারে যেতে পারছিল না। তাই হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়। নিম্নের ফটোতে প্লাবিত এলাকার চিকুমা নদী দেখা যাচ্ছে। গতকাল থেকে সব ধরনের ট্রেন সার্ভিস বন্ধ ছিল। বুলেট ট্রেন পার্কিং করার স্থানও প্লাবিত হয়েছে। হাইওয়ের উপর থেকে বৃহদাকার একটি ক্রেন তাইফুনে ভেঙ্গে পড়েছে।
শতাব্দির বৃহত্তম এই তাইফুনের জন্য সরকার সব রকম ব্যবস্থা করে রেখেছিল। সত্তর মিলিয়ন লোকের খাবার সহ অন্যত্র সরিয়ে নিবার বন্দোবস্ত ও শেল্টার করেছে। কিন্তু সরকারি শেল্টারে মাত্র ৫০,০০০ জন আশ্রয় নিয়েছে। ট্রেন চলাচল আজ দুপুর থেকে শুরু হবে।
স্থানীয় খবরের কাগজের তথ্য অনুযায়ী এই তাইফুনে ১৪ জন নিহত এবং ১২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
লেখক : জাপান প্রবাসী