জরিমানা করায় ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর বাজারে দোকান খোলার অপরাধে কাপড় ব্যবসায়ীকে জরিমানা করায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সহায়তায় মুক্ত হন ওই ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বাজারে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় অননুমোদিত কাপড়ের দোকান খোলা রাখার দায়ে তিশা ফ্যাশন হাউজের মালিক মো. ফরিদুল ইসলামকে তিন হাজার পাঁচ শত টাকা জরিমানার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ী ও এলাকার স্থানীয় কয়েকশত লোকজন জরিমানার প্রতিবাদ জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতদের বিচারককে ঘেরাও করে জানতে চায়- ‘বেশি সংখ্যক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জায়গা নারায়ণগঞ্জ থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহনে মানুষ আসছে। পণ্য নিতে চালক ও হেলপারা আসছে সেগুলো কেন বন্ধ করা হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা দোকান খোলায় জরিমানা করা হয় আর যানবাহনে করোনার ঝুঁকি বন্ধে কেন জরিমানা করা হয় না।’
এ ঘটনা জানতে পেয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে শত শত ট্রাক আসছে এতে বুড়িমারীতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বেড়েছে। জনসাধারণ প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উপরন্তু জরিমানা করায় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওনাকে ঘেরাও করে। পরে ইউএনও’র সাথে কথা বলা হয়। তিনি দুপুর ১ টা পর্যন্ত দোকান খোলার অনুমতি দেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ‘বুড়িমারীতে নরম্যাল মোবাইল কোর্ট করার সময় এলাকাবাসীর দাবি যদি পাথর বা পণ্যবাহী ট্রাক বুড়িমারীতে ঢুকে তাহলে কেন দোকান খোলা যাবে না। এ ধরণের কথাতেই তারা জড়ো হয়’
তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে কি না’- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবরুদ্ধ করবে কেন আমি ওদের সামনেই দাঁড়িয়ে শুনতেছিলাম। তাদের সাথে ভালো করে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলাম। চেয়ারম্যান এসে আলোচনা করার কিছুক্ষণ পর তারা চলে যায়।’
ইত্তেফাক