sliderস্থানীয়

জমে উঠেছে রংপুরে কুরবানীর পশুর হাট

রংপুর ব্যুরোঃ জমে উঠেছে রংপুরে কুরবানীর পশুর হাট। হাটগুলোতে গরু-ছাগলের সংখ্যা অনেক, কিন্তু এর তুলনায় ক্রেতা কম। হাটে প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম নেই। কোরবানীর হাটগুলোতে এখন মহাব্যস্ততা। শত শত গরু-ছাগল উঠছে হাটে। হাটে ক্রেতারা দেখছেন, ঘুরছেন. ফিরছেন, দাম যাচাই করছেন। তবে কিনছেন কম। গো-খাদ্যের চড়া দাম আর বন্যার কারণে এবার গরু- ছাগলের দামও বেশ চড়া। ক্রেতাদের অভিযোগ হাটগুলোতে হাসিল বেশি নেওয়া হচ্ছে। নেই প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম ।
রংপুরে ক্রেতাদের দাবি গতবারের চেয়ে এবার খামারে গরুর দাম কম । অনেকের ক্রয় করছেন কোরবানির পশু। বন্যার কারণে বিভিন্ন হাট বাজারে গরুর দামে প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট সাইজের গরু ৬০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের গরু দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বড় গরুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। তবে ছোট সাইজের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
আজ শুক্রবার রংপুরের পীরগাছা উপজেলার পাওটানা হাটে ৩টি গরু নিয়ে এসেছেন মোতালেব মিয়া। দুপুর একটার দিকে তিনি একটি গরু বিক্রি করেছেন ৬১ হাজার টাকা। অন্য দুটি গরু বড় সাইজের। ক্রেতারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তার আশা এই হাটে তার সব গরুই বিক্রি হবে। তিনি দাবি করেন গত বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম।
এদিকে ক্রেতারা মনে করছে গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি। কাউনিয়া উপজেলার আমজাদ হোসেন বলেন, গত হাটের চেয়ে এই হাটে গরুর দাম বেশি।
দরদামে না বনায় আজ শুক্রবার দুপুরে পাওটানা হাট হাটে গরু কিনতে আসেন তিনি।
পীরগাছা উপজেলার ছাওলা গ্রামের খামারি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গো-খাদ্যসহ সব খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় এবার তার লাভ নাও হতে পারে। তবে তিনি আশা করছেন তার গরু ভাল দামেই বিক্রি হবে।
রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির পশু বিক্রির উদ্দেশ্যে এই বিভাগের আট জেলায় দেড় লাখের বেশি খামারী সাড়ে ৪ লাখের বেশি গরু বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া ২ লাখের ওপর গৃহস্থ প্রায় ৯ লাখ গরু-খাসি বাজারে বিক্রি করার জন্য তৈরী করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button